মতলব উত্তর প্রতিনিধি ॥
বর্ষা মৌসুমে গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে ও রাস্তার উপরিভাগ ক্ষয় হয়ে যায়। ফলে প্রতি বছর ক্ষয়ে যাওয়া ও নষ্ট হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো মেরামতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়। যা দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
গ্রামীণ মাটির রাস্তা রক্ষা ও টেকসই করার লক্ষ্যে হেরিংবোন বন্ড (এইচবিবি) পদ্ধতি অবলম্বন করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে নাওভাঙ্গা জয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ১.৭৫কি.মি.সহ ৯০ কি.মি. মাটির সড়কের ওপরে বালি ও পাকা ইট বিছানো হচ্ছে। রাস্তা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিদ্যমান মাটির রাস্তার ওপরই এইচবিবি করা হচ্ছে।
জহিরাবাদ ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে নাওভাঙ্গা জয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ১.৭৫ কি.মি. সড়ক হেরিংবোন বন্ড কাজের ঠিকাদার জহিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলী আক্কাছ বাদল ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি গাজী মোক্তার হোসেন। কাজের তদারকি করছেন মতলব উত্তর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেলাল হোসেন মজুমদার। এ রাস্তাটি পাকা করায় জহিরাবাদ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাহিরের বেশির ভাগ মানুষ, নাওভাঙ্গা জয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর উপকারসহ ওই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।
গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিংবোন বন্ড (এইচবিবি) করণ’ প্রকল্পের আওতায় যেখানেই মাটির রাস্তা, সেখানেই ইট ও বালি বিছানো হচ্ছে। মতলব উত্তর উপজেলার গ্রামীণ এলাকায় কোনো মাটির সড়কই আর থাকবে না বলে দাবী করেন মতলব উত্তর উপজেলা পনিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ।
মতলব উত্তর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেলাল হোসেন মজুমদার বলেন, প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল মাটির রাস্তার ওপর ইট-বালি বিছানো হবে। আমাদের সম্পদ সীমিত, কিন্তু চাহিদা সীমাহীন। এর মধ্যেই পর্যায়ক্রমে সকল গ্রামীণ মাটির রাস্তার ওপর হেরিংবোন বন্ড (এইচবিবি) করা হচ্ছে। এর ফলে বর্ষা মৌসুমে একদিকে যেমন সড়কগুলো রক্ষা পাবে, অন্যদিকে তেমনি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি কমবে।
মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনুজর আহমদ বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও মানণীয় মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি’র উদ্যোগে গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিংবোন বন্ড (এইচবিবি) করণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে এ উপজেলায় ৯০ কি.মি. রাস্তা পাকাকরণ হচ্ছে। যা এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।