মতলব উত্তর: মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কনসালটেন্ট (গাইনী) ডাঃ শায়লা জাহান শিমুর বিরুদ্ধে
নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার কর্মস্থল মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকলেও রীতিমত তিনি অফিসে না আসায় রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরকারি বেতন ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে সরকারি কাজের ফাঁকি দিয়ে অন্য উপজেলার প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ডাঃ শায়লা জাহান (শিমু)।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরে নিউ ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বেশ ক’টি প্রাইভেট ক্লিনিকে তিনি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রোগী দেখেন বলে ডিজিটাল সাইনবোর্ড, প্রেসক্রিপশন ও ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখ রয়েছে। যদিও তার ঐ প্রেসক্রিপশনে রোগী দেখার সময় প্রতি বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উল্লেখ থাকলেও তিনি প্রতিনিয়ত এখানে রোগী দেখেন বলে স্থানীয় একাধিক রোগী সাংবাদিকদের জানান।
গতকাল ৪ মে বেলা সাড়ে ১১টায় মতলব নিউ ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কনসালটেন্ট (গাইনী) ডাঃ শায়লা জাহান শিমু বিভিন্ন রোগী দেখছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি কোথাও কি সরকারি চাকুরি করেন? জবাবে তিনি বলেন, তা জেনে আপনার লাভ কি? ‘আপনি তো মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কনসালটেন্ট (গাইনী) হিসাবে কর্মরত আছেন। কিন্তু আপনি অফিসে না গিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখছেন’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনার সমস্যা কোথায়? এ বলে তিনি আর কোনো কথা না বলে রোগী দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মতলব উত্তর উপজেলার আদুরভিটি, গজরা, লুধুয়া, ষাটনল, মান্দারতলীসহ বেশ ক’টি এলাকা থেকে আসা রোগীরা ঐ হাসপাতালে গিয়ে ডাঃ শায়লা জাহান শিমুকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের টাকা পয়সা নিতে পারবে কিন্তু সরকারের কাজ করতে পারবে না কেনো? স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের বলেন, এই হাসপাতালে গাইনী ডাঃ শায়লা জাহান শিমুর নাম শুনেছি কিন্তু রোগী দেখতে কখনো দেখিনি।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহআলমের সাথে মুঠোফোনে ‘ডাঃ শায়লা জাহান শিমু হাসপাতালে নিয়মিত না, এসে মতলব দক্ষিণে প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখছেন’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি। সে হাসপাতালে আসছে কিনা আমি এসেই বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেবো।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম আঃ ছাত্তার মিয়ার সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি জানান, ডাঃ শায়লা জাহান শিমু নিয়মিত অফিসে যায় না বা প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এমন কোনো অভিযোগ আমাকে কেউ জানায়নি। তবে অভিযোগটি সত্য হলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।