হাইমচর প্রতিনিধি
হাইমচরে ত্রাণ বিভাগের ২২ মেট্রিক টন জিআর-এর চাল নিয়ে হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। ১১টি মসজিদের নামে প্রকল্প দেয়া হলেও মসজিদ কর্তৃপক্ষ প্রকল্প সম্পর্কে জানেই না।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার ৫১.০১.১৩০০.০২৪.০৫.০১৩.১৪-৪০১ স্মারক মূলে ২৯/০৬/২০১৪ খ্রিঃ তারিখে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ১১টি মসজিদের প্রকল্পের অনুকূলে ২২ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দকৃত চাল সম্পর্কে উপজেলা ত্রাণ বিভাগ মসজিদ সংশ্লিষ্ট কাউকে জানায়নি। এরই মধ্যে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ত্রাণ বিভাগের যোগসাজসে একটি চক্র মসজিদের নামে এসব প্রকল্প ভুয়া কমিটি দাখিল করে সম্পূর্ণ বরাদ্দটি আত্মসাৎ করে। এদিকে সরকারি দলের কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতা তার নিজ এলাকার মসজিদের জন্য জিআর প্রকল্পের তদবির করেও বরাদ্দ না পাওয়ায় হাইমচর উপজেলা ত্রাণ বিভাগে খোঁজ খবর নিতে থাকলে গতকাল ২৩ জুলাই উপজেলা ত্রাণ বিভাগ বরাদ্দের কপিটি ঐ নেতৃবৃন্দের হাতে তুলে দেন। স্মারকে বর্ণিত চিঠিতে প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে থাকলেও মসজিদ কর্তৃপক্ষের অজান্তেই একটি দুষ্ট চক্র ভুয়া কমিটি দাখিল করে প্রকল্পের চাল উত্তোলন করেছে বলে ত্রাণ বিভাগ জানায়। ঐ সমস্ত রাজনৈতিক নেতা ত্রাণ বিভাগের উপর চড়াও হলে ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বরাদ্দকৃত চিঠিতে উল্লেখিত প্রকল্পের মসজিদগুলোর কমিটি মসজিদের নামে প্রকল্প দিয়ে জিআর চাল আত্মসাতের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাতে থাকে। এদের মধ্যে কোনো কোনো মসজিদ কর্তৃপক্ষ গতকালই জেলা প্রশাসক বরাবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে মসজিদের নামের প্রকল্পের জিআর চাল আত্মসাতের বিষয়ে আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। জানা যায়, ইতিমধ্যে ঐ সমস্ত প্রকল্পের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করে আত্মসাত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আমিনুর রশিদ এ প্রতিনিধিকে মোবাইলে জানান, ২৯ জুন/১৪ বরাদ্দের চিঠি পেয়েছি, ৩০ জুন/১৪ ডিও ছাড় করতে হবে। তড়িঘড়ি করতে গিয়ে কোনো ত্রুটি হয়েছে কিনা আমরা তদন্ত করে দেখছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রকল্পের চাল আত্মসাতের একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।