হাজীগঞ্জে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধিনে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমকে নিয়ে (আরবী পড়া বন্ধকে কেন্দ্র করে) প্রতিপক্ষের হামলা ৩জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলো ঃ মোঃ মানিক (২৫), আরিফ (১৮) ও হাজেরা বেগম (৫৫)। বর্তমানে তারা হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনাটি হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বলিয়া ইদ্রিছ সর্দার বাড়িতে গত ২ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দু’দফা হামলা হয়। জানা যায়, ওই গ্রামের হামিদ সর্দার বাড়ির সম্মুখে পাঞ্জেগানা মসজিদে ইসলামী ফাউন্ডেশনের অধীনে ওই এলাকার শিশুদের আরবী শিক্ষা দেয়া হয়। বেশ কিছুদিন এটি চলমান থাকার পর ইদ্রিছ সর্দার বাড়ির মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে মহসিন মিয়া এতে বাধা প্রদান করেন। এ নিয়ে তার সাথে এলাকার জনসাধারণের কয়েকবার তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে শিশুরা আরবী শিক্ষা থেকে একটি বছর বঞ্চিত হয়। পরে ইদ্রিছ সর্দার বাড়ির আমিন মিয়ার ছেলে মোঃ মানিকসহ কয়েক জনের উদ্যেগে পূনরায় একজন ইমাম দিয়ে প্রতিদিন সকালে শিশুদের আরবী পড়ানোর শুরু করার উদ্যেগ নেন। এরপর কিছুদিন যাবৎ এটি চলমান থাকলে আবারো মহসিন এতে বাধা দিয়ে থাকেন। এমনকি মসজিদের ইমামকে নিয়ে মহসিন জনসাধারণের মাঝে কুরুচিপূর্ন কথা ছড়ায়। এর প্রতিবাদ করেন মানিকসহ আরো কয়েকজন। তারা এর প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মহসিন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২জুন সকাল সাড়ে ৮টা মানিকের বসতঘরে গিয়ে তাকে মারধর করেন মহসিন। পূনরায় সকাল ৯টা মানিক হাজীগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলে মসজিদের সম্মুখেই মহসিন তাকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে মারধর করেন। পরে মহসিনের হাত থেকে মানিককে উদ্ধার করতে তার মা হাজেরা বেগম ও ভাই আরিফ হোসেন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ ঘটনায় মানিক বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, মহসিন, মাসুদ, হাবিব, কুশুম ও তার মা। এ প্রসঙ্গে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শামীম বলেন, অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা পেয়ে থাকে। এখন নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শিরোনাম:
সোমবার , ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।