চাঁদপুর শাহরাস্তি উপজেলায় গভীর রাতে মাদক সেবন করে স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে শাহরাস্তি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সবুজ। বুধবার ২৪ জুন দিবাগত রাত উপজেলা সংলগ্ন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মিয়াজীর ভবনে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, শাহরাস্তি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সবুজ গভীর রাত পর্যন্ত শাহরাস্তি উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ান মিজির সাথে ইয়াবা সেবন করে রাতে বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী সুমিকে প্রচ- মারধর করে ঘর থেকে বাহিরে ফেলে দেয়। পিআইও সবুজও নেশারঘোরে রাস্তার উপরেই পড়ে থাকে।
খবর পেয়ে শাহরাস্তি থানার এসআই জাহেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে সবুজের স্ত্রীকে সুমীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে সুমিকে সরকারি হাসপাতাল থেকে শাহরাস্তি পপুলার হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
জানাযায়, শাহরাস্তি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সবুজ দীর্ঘদিন ধরেই শাহরাস্তি উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ানের সাথে ইয়াবা সেবন করে আসছে। কখনো কখনো ঘরে বসেই ইয়াবা সেবন ও এক নারীকে নিয়ে ফূর্তিতে মেতে উঠতো। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় তার ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে সাহস করতোনা।
শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, মো. সবুজ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার মিজির বাড়ীতে বাসা ভাড়া থাকেন। ওই বাসাতে প্রায় গাঁজা ও ইয়াবার জমজমাট আড্ডা বসানো হতো। করোনাকালিন সময়ে ত্রাণের অনেক টাকা আত্মসাত করে রাতারাতি অনেক টাকার মালিক হয়ে নেশার দিকে ঝুঁকে পড়ে এ কর্মকর্তা। মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করেনা।
শাহরাস্তি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শুনেছি সারারাত রাস্তায় পড়েছিল পিআইও সবুজ। বাড়ির মালিক ৪ জন লোক দিয়ে পাহারা দিয়েছে। সকালে একটু জ্ঞান ফিরলে ওই ৪জন জন পাহারাদার তাকে পাঞ্জা করে তার ঘরে রেখে আসে।
নির্যাতনের স্বীকার সুমি জানান, সবুজ কেন এ অত্যাচার ও নির্যাতন চালায় জানিনা। এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য মো. সবুজের মুঠোফোনে চেষ্ঠা করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম জানান, বাড়ির মালিক ফোন করে বিষয়টি আমাকে অবহিত করে। ওই রাতে থানার পুলিশ অফিসার এস আই জায়েদ ভূঁইয়া সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত নির্যাতিতার পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।