শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড বিকল্প লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় মামনি মেডিকেল ফার্মেসীর হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় সাইফুল ইসলাম আড়াই বছরের এক শিশু চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
আজ বুধবার হাসপাতালের তৃতীয় তলায় শিশু বেডে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখা যায়। শিশুর বাবা চারা ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন হাওলাদার জানায়, গত পাঁচ দিন পূর্বে নিশি রোডে তার হাওলাদার বাড়িতে তার শিশু সাইফুল ইসলাম প্রচন্ড জর ও ঠান্ডায় কাতরাচ্ছিল। এ সময় মাদ্রাসা রোডের সাবের গাজীর মাদ্রাসার মার্কেটের ভাড়াটিয়া মামনি মেডিকেল সেন্টারে হাতুরে ডাক্তার নিতাই নন্দীর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সে রোগের অবস্থান জানতে পেরে রোগীকে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে কাটা ছেড়া পরিস্কার করার লিকুইড মমতাজ হাইড্রোজেন পারক্সাইডের বোতল শিশুকে খাওয়ার পথ্য হিসেবে দেয়। ৩ দিন খাওয়ানোর পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তারকে ঔষধের বোতলটি দেখানোর পর তিনি হাতুড়ে ডাক্তারকে কান ধরে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেয়। এ ঘটনা মাদ্রাসার মার্কেটের তত্ত্বাবধানে থাকা ব্যক্তিদের জানিয়ে ঘাতক হাতুড়ে ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করা হয়। সে ভুল বশত এ ঔষধ দিয়েছে বলে জানায় এবং হাসপাতালের সকল চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে বলে জানায়। কিন্তু চিকিৎসা ব্যয় বহনতো দূরে থাক মৃত্যু পথযাত্রী শিশুকে একবারও দেখতে যায়নি। শিশুকে অপ চিকিৎসার ঘটনাটি জানার জন্য মাদ্রাসা রোডে মামনী মেডিকেল হলে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে হাতুড়ে ডাক্তার নিতাই নন্দী তার পরিচয় গোপন রেখে অশোভন আচরণ করে। সব সমস্যা নিজেরা সমাধান করবে বলে কাউকে কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করছে না বলে জানায়। সে আচরণ খারাপ করায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে সতর্ক করে। পরে তার প্রকৃত পরিচয় জানা যায়। হাতুড়ে ডাক্তার নিতাই নন্দী চাঁদপুর শহরের পালপাড়ায় বসবাস করতো। বিভিন্ন জায়গায় ফার্মেসীর দোকান দিয়ে ব্যবসা করে অপচিকিৎসা দেয়ার কারণে বেশ কয়েকবার মানুষের হাতে লাঞ্ছিত হয়। সে বর্তমানে পুরাণবাজার ঘোষপাড়া দুলাল সাহার বাসার ভাড়াটিয়া। সেখনে থেকেও বেশ কয়েকবার অপচিকিৎসা দেয়ার কারণে মানুষের হাতে লাঞ্ছিত হয়। সর্বশেষ সাবের গাজীর মাদরাসা মার্কেটে দোকান ভাড়া নিয়ে ফার্মেসী ব্যবসা শুরু করে নিজেই চিকিৎসা দেয়। তার এ অপচিকিৎসার কারণে এলাকার অনেক মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।