চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
চাঁদপুর মাদ্রাসা রোড বিকল্প লঞ্চঘাটে বিআইডব্লিউটি-এর টোলের নামে প্রতিদিন বেপরোয়াভাবে হাজার হাজার টাকার চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। টোলের নামে চাঁদাবাজির এ অনিয়মের প্রতিবাদ করায় নৌ-পুলিশ কর্তৃক সিএনজি স্কুটার চালককে পিটিয়ে আহত করার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার জের ধরে সিএনজি স্কুটার চালকরা গতকাল বিকেল ৫টা থেকে লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সিএনজি স্কুটার ও অটোরিক্সা সরিয়ে নিয়ে যায়। রাত ৮টায় বিআইডব্লিউটি-এর বন্দর কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির সভাপতি ও উপ-কমিটির নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করে তার সমাধান করা হয়।
ানা যায়, চাঁদপুর লঞ্চঘাটে প্রতিদিন যে কোনো সিএনজি স্কুটার প্রবেশ করলেই বিআইডব্লিউটি-এর নামে একটি রসিদের মাধ্যমে ৫ টাকা হারে টোল উত্তোলন করা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন অধিকাংশ সময় রসিদ বিহীন প্রতিবার সিএনজি স্কুটার থেকে বিআইডব্লিউটি-এর কতিপয় কর্মকর্তারা নৌ-পুলিশের যোগসাজসে চাঁদার নামে ৫ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে করে প্রতিদিন শ’ শ’ গাড়ি থেকে গড়ে হাজার হাজার টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে।
তকাল সোমবার বিকেলে চাঁদপুর মাদ্রাসা রোড বিকল্প লঞ্চঘাটে (চাঁদপুর-থ ৫৬০৯) নাম্বারের গাড়িটি নিয়ে সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের সুন্দরদিয়া এলাকার মোঃ শাহ আলমের ছেলে মোঃ ও মাসুদ (২২) যাত্রী নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় লঞ্চঘাটে বিআইডব্লিউটি-এর চাঁদা আদায়কারী মোঃ মোজাম্মেল ও কাদির সিনএনজিটিকে থামিয়ে ৫ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় গাড়ি চালক মাসুদ পরে এসে একত্রে ২ বারের জন্য ১০ টাকা দিয়ে যাবে বলে জানায়। কিন্তু চাঁদা আদায়কারীরা উত্তেজিত হয়ে মাসুদকে টেনে হেঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেদম প্রহার করে নৌ-পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় নৌ-পুলিশের এটিএসআই মোঃ নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গাড়ি চালক মাসুদকে মারতে মারতে ফাঁড়িতে নিয়ে আটক করে রাখে।
দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে সদর উপজেলা সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ আটক গাড়ি চালক মাসুদকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। পরে সিএনজি মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে তাদের সকল সিএনজি স্কুটার সরিয়ে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রদান করে। রাতে বিষয়টি সুরাহা করা হলে সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৯টায় লঞ্চঘাট থেকে সিএনজি স্কুটার চলাচল শুরু করে।
