গাজায় ইসরাইলীরা কি নৃশংসতা চালাচ্ছে, তার কোন বর্ননা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির ফলে সবসময়ের সচিত্র প্রতিবেদন পাওয়া যাচ্ছে এই বর্বরতার। গাজার এই ঘটনাকে শুধু বর্বরতা বললে কম বলা হয়। এটি হলো গনহত্যা। কেননা যখনই একটি গোষ্টি, গোত্র বা জাতিকে নিশ্চিহৃ করার জন্য হত্যা এবং ধংস্বযজ্ঞ চালানো হয়, তখনই সেটা গনহত্যা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যেমন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এদেশের দোষরদের নিয়ে এরকম গনহত্যা চালিয়েছিল । তখন তথ্যপ্রযুক্তির এতটা অগ্রগতি সাধিত হয় নি বিধায় বিশ্বব্যাপি এতটা প্রচার হয় নি। তারপরও বেশ কিছু সাংবাদিকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশ্ব অল্প বিস্তর অবহিত হয়েছিল এই গনহত্যা সর্ম্পকে। তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পাকিস্তানের পরম বন্ধু ছিল। সেজন্য তারা কোন প্রতিবাদ করেন নি। বরঞ্চ যারা প্রতিবাদ করতে চেয়েছিল তাদের কন্ঠ চেপে ধরতে চেয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন প্রশাসন। উদাহরন স্বরুপ বলা যায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মার্কিন তাবেদার বনসাল জেনারেল অৎপযবৎ ক ইষড়ড়ফ এর কথা। ২৫ শে মার্চ ১৯৭১ পাকবাহিনীর বর্বর হামলার কথা তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করেন। এতে নিক্সন প্রশাসন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যায় এবং তাকে পদায়ন করে দীর্ঘ সময় ওএসডি করে রাখে। আমাদের ধারনা এধরনের প্রতিহিংসার ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘটবে না। কিন্তু এর মত অৎপযবৎ ক ইষড়ড়ফ একজন সিনিয়র ফরেন সার্ভিস ক্যাডার সদস্যদের প্রতি এই নির্যাতন চালানো হয়েছে। ৭১ সালে গোটা বাংলাদেশ যখন পুড়ছিল, গনহত্যা চলছিল। তখন নিক্সন প্রশাসন এবং জাতিসংঘ পাকিস্তানে ত্রান সামগ্রী বিতরন নিয়ে অস্তির। সে সময়ও একজন এশীয় জাতিসংঘ মহাসচিব ছিলেন তার নাম উথান্ট। তিনি মায়ানমারের নাগরিক। সেই গনহত্যার অপরাধে যারা অপরাধী। তাদের আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে বিচার হচ্ছে এবং হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপীল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তার পরও এরকম একজনকে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তকে ফাঁসী দেয়ার সময় জাতি সংঘের মহাসচিব বান কি মুন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট মন্ত্রী জন কেরি ও দন্ড মওকুফের আহ্বান জানিয়েছেন। অথচ ইসরাইল গাজাতে কি নিষ্ঠুর গনহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে তাদের আচরন শীতিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি চরমভাব হুমকি প্রদান করে। তাহলে কি ইসরাইল পক্ষে এই হত্যা কান্ড চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। অযশ্র নারী শিশু সহ বহু মানুষ প্রতিনিয়ত নিহত এবং আহত হচ্ছে। হাসপাতালে বোমায় ¯িপ্রন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শিশুর ছবি ছাপানো হয়েছে। এই ছবি বিশ্বমানবতাকে কাপিঁয়ে তোলার জন্য যথেষ্ঠ। না তেমনটি হয় না। সকল মানবতার এবং মানবিক মূল্যবোধের স্বৃকীতি নির্ভর করে নিজ রাষ্ট্রের আর্থিক ও রাজনৈতিক স্বার্থের উপর।
ইহুদিদের আমরা চিনি বা জানি সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই হিটলার যখন ইহুদিদের হত্যার মিশনে নেমেছিলেন তখন হিটলার বন্দুকের গুলি খরচ করতে চান নি, হিটলারের কাছে বন্দুকের গুলির চেয়ে ইহুদিদের মূল্য অনেক কম হওয়ায় তিনি গ্যাস চেম্বার বানিয়েছেন। তাকে পরাজয় বরন করতে হয়েছিল বিশ্বযুদ্ধ হওয়ার কারনে সেখানে তার বিরুদ্ধ শক্তির সামর্থ্য, শক্তির কাছে। কিন্তু ইতিহাস তাকে যতটা নির্দয় ভাবুন না কেন যুগ যুগ ধরে তিনি আলোচনায় এসেছেন তার কৃত কর্মের কারনে তার কুখ্যাত মহান উক্তি “ আমি সকল ইহুদিকে হত্যা করিনি কারন কিছু বাচিয়ে রেখেছি যাতে তাদের কর্মকান্ডে মানুষ বুঝতে পারে কেন তাদের হত্যা করার জন্য আমি এত নির্দয় হয়েছি” আজ আবার তাকে আমাদের ভাচুয়াল জগতে নিয়ে এসেছে, বিজ্ঞানের যুগেও একজন হিটলারের প্রয়োজনীয়তা, একজন হিটলারের আর্বিভাব, একজন হিটলার কেন প্রয়োজন, তা আমাদেরকে হিটলারের নির্মম স্বীকার হওয়া ইসরাইলীরা প্রমান করছে। সেই ১৯৪৮ সাল ফিলিস্তানীরা থেকে নিজেদের দেশ থেকে বিতারিত। কয়েক দশক ব্যাপি একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে আসছে। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত নিজেদের দেশেই পরবাসী হয়ে থাকতে হয়েছে। ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তির মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান করার চেষ্ঠাটি মার্কিন আদিপত্যে লোপ পায়। সে যুদ্ধটিকে মিডিয়া ইস্রাইলের বিরুদ্ধে হামাসের যুদ্ধ বলে প্রচারনা চালায়। কিন্তু ফিলিস্তানীরা নিজ দেশে ইস্রাইল কতৃক বিতারিত। সেখানেও তারা মার্কিন ইহুদিবাদীদের পক্ষেই সাফাই গায় সব সময়। ইসরাইলিরা ইতিমধ্যে প্রমান করেছে মানব জাতি আর ইহুদি জাতির মধ্যে প্রার্থক্য।
আমাদের কে ১৯৭২ সালে স্বীকৃতি দিয়েছিল ইসরাইল কর্তৃপক্ষ। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে চিঠি ও দিয়েছিল। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষনতায় আমাদের সাথে তাদের সর্ম্পক টিকে রাখা হয় নি। আজ অবধি গর্ব অবশ্যই আমরা করতে পারি, নরপশুর জাতি ইহুদি দের সাথে আমাদের নূণ্যতম কোন সর্ম্পক নেই।
আজ আমরা যারা নিজেদেরকে মানবতার পুজারী বলে দাবী করে, মানব বলে মনে করি, যে সব মানবধিকার সঙ্গ রয়েছে বিশ্ব জুড়ে তাদের কাজ কি, তাদের মানবতায় ভূমিকা কি তা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
আমরা পশ্চিমা বিশ্বের মানবধিকার রক্ষার বিষয়টি নিয়ে এত উদ্ধেগের গুরুত্ব দিতাম যদি দেখা যেত তারা এ ব্যাপারে আন্তরিক এবং কোন পক্ষপাত মূলক আচরন করছেন না করত। সেটাই দেখার বিষয়। নানা ছলনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে সামরিক অভিযান চালানো হয় এবং তারা দেশটি দখল করল। প্রধান অজুহাত ছিল যে ইরাকের তৎকালীণ প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের কাছে গনবিধংসী অস্ত্রের পাহাড় রয়েছে। পরে দেখা গেল যে কিছুই নেই। তখন যে বক্তব্য আনা হলো, তা হলো ইরাক গনতন্ত্র কায়েমের জন্য ঐ দখল। যদিও ইতিহাসে অনেক নজির রয়েছে যে, বহুগনতন্ত্র হরন কারী সরকারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা সাহায্য করেছে। তাকে গ্রেফতার করার পর তার দাঁত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন মার্কিন সামরিক কর্তৃপক্ষ। টেলিভিশনের পর্দায় বারবার দাঁত পরীক্ষা দেখানো হলো যেন সাদ্দাম একজন জোকার। তাকে সর্বোত ভাবে হেয় করার জন্য এ দৃশ্য দেখানো হয়। এর পর বিচারের নামে প্রহসন করে তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হল এবং ঈদের দিন ফাঁসি দেওয়া হলো। পশ্চিমাদেশগুলো কি তার মৃত্যু দন্ডাদেশ রহিত করার নূণ্যতম প্রচেষ্টা দেখিয়েছিল । বলা বাহুল্য ইরাক সরকারতো তাদের বদৌলতে ক্ষমতাসীন হয়েছে। মানবধিকার লংঘনের প্রশ্নটি আদৌ কারো মাথায় এলোনা কেন?
লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাসের সাকোজির জন্য নিজের ব্যক্তিগত বিমান দিয়েছিলেন, সারকোজির ইলেকশনের জন্য বিশাল অংকের অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যখন পশ্চিমা স্বার্থ ক্ষুন্ন হয় তখন লিবিয়ার প্রেসিডেন্টকে হত্যার পর একটি টু শব্দও করা হয় নি।
তাই এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে পশ্চিমা বিশ্বের মানবধিকার লংঘন নিয়ে কথা বলার ভেতর কতটা আন্তরিক, আর কতটা শঠতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবধিকার সংগঠন হিউমেন রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের গন হত্যায় বিচারের পক্ষে না গিয়ে তারা অত্যান্ত খোলাখুলি ভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সেটা সবার কাছে পরিষ্কার হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য মিঃ কাসাকা আর্ন্তজাতিক ফোরাম পঠিত তার লিখিত নিবন্ধে এ অভিযোগ উর্ত্থাপন করেছেন। ইতিপূর্বের ধারাবাহিকতায় দু চারটি ছাড়া বাকি সকল আর্ন্তজাতিক মানবধিকার সংগঠন গুলো তাদের প্রভূ পশ্চিমাদের স্বার্থই সব সময় দেখে থাকে। মানবধিকার সেখানে কোন কথা নয়, শুধু মাত্র কায়েমী স্বার্থের জন্য মূখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
গাজায় যে নিষ্টুর হামলা এবং গনহত্যা চলছে, তাতে মুসলিম বিশ্বের প্রতিক্রিয়া কি? আরব লীগ জরুরী ভাবে মিলিত হয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারছেন না কেন? ও আইসি বা অরগেনাইজেশন অফ ইসলামিক কনফারেন্স তো আরো শক্তিশালী সংগঠন। গোটা বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রের সংগঠন এটি। একত্রিত হয়ে এই আক্রমন বন্ধ করার জন্য প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করতে পারে ওআইসি। তারপরও আরব বিশ্বের খোদ নেতৃস্থানীয় রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা কি? মিশর সীমান্তও খুলে দেওয়া হয়েছিল যেন গাজায় হামলার ফলে যারা বাচার জন্য পালাচ্ছে, তারা যেন মিশরে আশ্রয় নিতে পারে। কিন্তু বেদনাদায়ক ঘটনা হলো সে যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেই সীমান্ত ও আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবার আলাপ করতে হয় এই বেদনাদায়ক ঘটনার মূল কারন নিয়ে। কয়েকদিন আগে যখন ইসরাইলের কয়েকজনকে হত্যা করা হল, তখনই অনেকে আশংকা করেছিলেন যে ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারে। হামাস একটি সাহসী জঙ্গী সংগঠন। জেহাদ ছাড়া কিছু বোঝেনা , ভালো কথা। লক্ষ থাকতে হবে এবং লক্ষ্যে পৌছার জন্য বাস্তবিক পরিস্তিতি আছে কনা তাও বুঝতে হবে। আবার প্রয়োজন বোধে সন্ধি করতে হবে। যেমন হুদায়বিয়ার সন্ধি। তিনি বিদায় হজ্বে যে ভাষন দিয়েছিলেন, তা একটি অতীব প্রজ্ঞাবান রাষ্ট্রনায়োকোচিত ভাষন। এই ভাষনের প্রতিটি লাইন অতীব গুরুত্ব পুর্ন। যেন তিনি সাবধান করে দিয়েছেন যেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা না হয় । কেননা অতীতে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ী করার ফলে অতীতে বহু জাতি ধংস্ব হয়েছে। তিনি বলেছেন “ তোমরা যাহা খাইবে এবং পরিধান করবে । তোমাদের দাস দাসীকে কে তা খাওয়াইবে এবং পরিধান করতে দিবে। এর চাইতে সাম্যের বানী আর কি হতে পারে। আমরা কি তার গভীরতা মেপে দেখার চেষ্টা করেছি। এর বাস্তবায়ন মানে বঞ্চনা আর শোষনের পুর্ণ অবসান। কিন্তু দূর্ভাগ্য যে বিদায় হজ্বেও বানী প্রচার বা কথা সেভাবে প্রচার করা হয় না। কৌশলগত কারনে তিনি জিহাদের কথা বলেছেন। এখন এর যত্রতত্র প্রয়োগ করার চেষ্টা করে মুসলিম সমাজ ক্রমাগত হানাহানি বেড়ে চলেছে। শিয়া সুন্নীতে হানাহানির ফলে প্রতিনিয়ত কত প্রান যাচ্ছে। আরো দুঃখজনক শিশু ও নারীরাও এই হত্যাকান্ড থেকে রেহাই পাচ্ছে না । সিরিয়ায় ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষ প্রান হারিয়েছে। এরা কিন্তু কেউ কথিত মালাউন বা কাফের নয়। সবাই মুসলমান। সেখানে হামাস পক্ষ নিয়ে সমস্যা জটিল করেছেন। ইসরাইল এই সংঘর্ষের সময় এক তরফা যুদ্ধ বিরতী ঘোষনা করেছিল। হামাস এই বিরতী প্রত্যখান করলো এর ফলে কি হলো সেখানে আরো ভয়াবহ হামলা করা হলো। আরো ভয়াবহ আক্রমনে কত নিরীহ মানুষ প্রান হারাচ্ছেন, গৃহহারা হয়ে উর্দাস্তু হচ্ছেন, তাতো আর বলা যায় না। বিশ্বের সব টিভি চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে। লক্ষ্য বিহীন জঙ্গী কর্মকান্ড দেখিয়ে কি লাভ হচ্ছে। আমরা তো দেখছি শুধু প্রান হানীর । আজ সকল মুসলীম রাষ্ট্রের বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের আরব রাষ্ট্রগুলোর একট্টা হয়ে প্যালেস্টাইন সমস্যার সমাধান করা। সেটা করতে হবে বর্তমান বাস্তবতার নিরীখে। যে সব সংগঠন বাস্তবতাকে মানবে না। তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করা ঠিক হবে না। আর সেই সঙ্গে প্যালেষ্টাইন রাষ্ট্রকে অর্থনীতিক এবং সামরিক ভাবে শক্তিশালী করে তোলা। প্রত্যেকটি মুসলিম দেশে ইমানের কোন ঘাটতি নেই। আরবের কোন কোন মুসলিম দেশ অর্থ সাহায্য দিয়ে ইমান রপ্তানী করার চেষ্টা করছে। তারা ঐসব দেশে অশান্তি সৃষ্টি এবং হানাহানি করছে। ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক রয়েছে। অশান্তি সৃষ্টি কারী প্রতিষ্ঠান অর্থ প্রদান না করে মুসলিম দেশের সমুদয় অর্থ ইসলামিক উন্নয়ন সংষ্কারের মাধ্যমে ব্যয় করা যাতে করে দরিদ্র মুসলিম রাষ্ট্রের সার্বিক অর্থনৈতিক কল্যান সাধিত হয়। তাহলেই প্রকৃত ইসলামের সেবা করা হবে।
গাজায় বর্বরতার কথা পুনরায় উল্লেখ করতে চাইলে । বাংলাদেশে কি সরকারী দল, কি বিরোধী দল, কি মিডিয়া কোথাও গাজার নিঃশংসতার যথাযথ প্রতিবাদ এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হচ্ছে না। ইউক্রেনে দুটি লোক মরলে নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপিত হয় । আর গাজায় হাজার হাজার নিরীহ প্রান যাওয়াটা যেন কোন বিষয় নয়। জাতি সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্রের একটি রাষ্ট্রও মুসলিম রাষ্ট্র নয়। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে মুসলীম রাষ্ট্র থেকে একজন কে সদস্য রাষ্ট্র করা যেতে পারে। তবে ধর্মভিত্তিক বিষয়টি কাম্য নয়। অঞ্চল ভিত্তিক করা যেতে পারে। যেমন এশিয়ার দুরপ্রাচ্য থেকে একজন এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে একজন। তবে তার আগে মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোর নিজেদের মধ্যে কলোহের সমাপ্তি ঘটাতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক মানবধিকার সংস্থা কর্মকান্ড আমাদের এখানেও রয়েছে। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা আপনাদের চৈতন্যদয় হবে কবে নাকি মানবধিকার লংগনের সংজ্ঞা দেশ ও জাতি হিসাবে ভিন্ন ভিন্ন।
সংবাদকর্মী মোঃ রেজাউল হক