প্রতিনিধি
চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর রঘুনাথপুরে মাইজভান্ডারীর মুরিদ মুসলিম ফকিরের বাড়িতে ওরস মাহফিলে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে থামছেনা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। মডেল থানায় মামলা করায় ক্ষীপ্ত হয়ে আসামীরা হামলায় প্রতিদিনই রক্তক্ষয়ী জখম হচ্ছে দু’চারজন। মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা পলাতক রয়েছে। হামলাকারীরা পলাতক থেকে সুযোগ পেলেই মুসলিম ফকিরের ভক্ত ও পরিবারের লোকজন এবং বাড়িতে আসা আত্মীয় স্বজনকে রক্তাক্ত জখম করছে। গত কয়েকদিন পূর্বে চাঁদপুর সদর এলাকার বালিয়া গ্রামের করিম খানের ছেলে মুসলিম ফকিরের ভক্ত মিজানুর রহমান খান ও তার বোন লতুফা বেগম মোসলেম ফকিরের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশে যাওয়ার সময় মামলায় উল্লেখিত আসামীরা পেছন থেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় মিজানুর রহমান ও তার বোন লতুফা রক্তাক্ত জখম হয়। মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা গতকাল রোববার সকালে বাড়ীর মালিক মোসলেম ফকিরকে বাজারে একা পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। জানাযায়, মোসলেম ফকির সকাল ১০ টায় বাড়ী থেকে রঘুনাথপুর বেরি বাঁধ চৌরাস্তায় সুকুমারের সেলুনের দোকানে সেইভ করতে যায়। এ সময় মামলার আসামী মৃত মতি ভুইয়ার ছেলে কবির ভুইয়া সেলুনের দোকানে এসে মোসলেম ফকিরকে মামলায় আসামী করায় হুমকি দেয়। এরকিছুক্ষন পর মামলার অপর আসামী নাছির খানের ছেলে নবীণ ও কানা জাকিরের ছেলে মোবারক, শাহজাহান খানের ছেলে তানিমকে ফোন করে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। তারা মামলা তুলে নেয়ার জন্য মোসলেম ফকিরকে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।। এ সময় স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মোসলেম ফকিরকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান। উল্লেখ্য, মুসলিম ফকিরের ছেলে ইব্রাহীম বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১৪/৫৫৬, তারিখ ৭.১১.১৪। সেই মামলা দায়েরের পর থেকেই সংঘর্ষের মাত্রা বেড়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী আতংকে রয়েছে।
শিরোনাম:
রবিবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।