ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাগড়া বাজার পশ্চিম সোভান গ্রামে পাতা কুড়ানো কে কেন্দ্র করে মহিলাদের মাঝে মারামারি ঘটনার সূত্রপাত কে নারী নির্যাতন মামলায় রূপান্তর করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মূল ঘটনা আড়াল করে আদালতে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করায় মিথ্যা মামলায় মোস্তফা খান (৩৫) বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে বাগড়া বাজার পশ্চিম সোবহান গ্রামে খান বাড়িতে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় খান বাড়ির বাগানে পাতা কুড়ানো কেন্দ্র করে মোস্তফা খানের শ্বাশুড়ি ফিরোজা বেগমের সাথে মামলার বাদী শাহিদা বেগম ঝগড়া বিবাদ হয়। এসময় ফিরোজা বেগম মেয়ে সুরিয়া বেগম ও তার ছেলে এগিয়ে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। এঘটনায় উভয়পক্ষের ৫জন আহত হয়। ফিরোজা বেগম ও সুরাইয়া বেগম আহত হওয়ায় মোস্তফা খান বাড়িতে এসে প্রতিপক্ষদের জিজ্ঞাসা করে। পুনরায় পূর্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মারামারির ঘটনাকে গোপন রেখে মামলার বাদী শাহিদা বেগম তার মেয়ে তানজিলা বেগম ১৮ কে নির্যাতন করেছে বলে আদালতে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে। ঘটনার দিন হামলার ঘটনায় উভয়পক্ষের জাফর (৩৫) কুদ্দুছ খান (৫৫) তানজিলা বেগম (১৮) ফিরোজা বেগম (৩৮) সুরাইয়া বেগম (২০) মোস্তফা খান (৩৫) আহত হয়। সামান্য পাতা কুড়ানো কে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে মারামারি ঘটনাকে গোপন রেখে প্রতিপক্ষরা আদালতে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালত ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ কে রুজু করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। ফরিদগঞ্জ থানার মামলা নং-২৪ তারিখ ২৭-১২-২০১৪। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই রহমত আলী চাঁদপুর শহরের ওয়ালেছ বাজার এলাকা একটি চায়ের দোকান থেকে মোস্তফা খান কে আটক করে। বর্তমানে সে মিথ্যা মামলায় আসামী হিসেবে জেল হাজাতে ভুগছে। গতকাল শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে মামলার ৫নং স্বাক্ষী নজরুল ইসলাম ৬নং স্বাক্ষী মুক্তার গাজী ৭নং স্বাক্ষী তাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন মহিলাদের মধ্যে পাতা কুড়ানো কে কেন্দ্র করে উভয়ের মাঝে মারামারি সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন মোস্তফা খানের স্ত্রী সুরাইয়া বেগমকে মারধর করায় সে বাড়িতে এসে প্রতিবাদ করলে উভয়ের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। মারামারি ঘটনার কে আড়াল করে আদালতে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেছে। গত ১২ই জানুয়ারি মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা রহমত আলী ঘটনাস্থলে স্বাক্ষী নেওয়া জন্য আসেন। কিন্তু তিনি বাদীর মেয়ে তানজিলা বেগম, আঃ কুদ্দুছ খান ও ছেলে জাফর খানের স্বাক্ষ্য গ্রহন করে। মামলার অনান্য স্বাক্ষীদের কাছ থেকে স্বাক্ষ্য না নেওয়ায় প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সুষ্ঠ তদন্ত করলে প্রকৃত মূল রহস্য উদঘাটন হবে।
শিরোনাম:
আরও সংবাদ
শাহরাস্তিতে জোবেদা মতিন বালিকা স্কুল এন্ড কলেজ উদ্বোধন
চাঁদপুর প্রতিনিধি : নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় এই প্রথম ইংরেজি... বিস্তারিত
বিএনপি-জামাতের সহিংসতার বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
আসন্ন দূর্গাপূজা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বিএনপি-জামাত... বিস্তারিত
বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের বিশাল…
তফসিল ঘোষণার পূর্বে অবৈধ সংসদ ভেঙে না দিলে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে -মাওলানা গাজী আতাউর... বিস্তারিত
আইটি কম্পিউটার সিটি’র সনদ বিতরণী অনুষ্ঠান
আজ ০৬ অক্টোরব ২০২৩ ইং আইটি কম্পিউটার সিটি’র সনদ বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় চাঁদপুরের... বিস্তারিত
মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন আজ
বিভিন্ন জায়গায় শোডাউন করে মনোনয়ন জমার অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে পদত্যাগ করতে হবে না :ইসি... বিস্তারিত
গৃহকর্মী নিয়োগে নতুন নিয়ম চালু করল সৌদি
বিদেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগে বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম চালু করেছে সৌদি আরবের শ্রম আইন... বিস্তারিত
তারেককে নেতা মানেন না বিএনপির এমন অনেকে নির্বাচনে…
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্ব দলটির অনেকেই পছন্দ করেন... বিস্তারিত
আমাকে বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে…
বাংলাদেশের রিজার্ভ এবং বিদ্যুৎ পরিস্থিতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাকে বেশি... বিস্তারিত
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।