চাঁদপুরে আসন্ন ঈদুল আযহা ও শারদীয় দুর্গা পুজায় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনটি জানিয়েছেন, চাঁদপুরের মাননীয় জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কে জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর একটি সাম্প্রদায়ীক সম্পৃতির জেলা হিসেবে পরিচিত, তাই এবারের ঈদ ও পুজায় সকলেই যার যার ধর্মীয় উৎসব পালনে কোন প্রকার সম্পৃতি যেন নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সজাগ দৃস্টি রাখবেন। আর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতিতো থাকবেই। সরকারের আন্তরিকতায় চলমান সময়ে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গত কয়েক বছরেও এই ধরনের পরিস্থিতি ছিলো না। জেলার বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা সন্তোষজনক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। চাঁদপুরে একটি হেলিপেট স্থাপনে সম্ভাব্য চেষ্টা চলছে। মতলব উত্তরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে গজারিয়া এলাকায় কোস্টগার্ড স্টেশন হচ্ছে। ব্রীকফিল্ড নিয়ন্ত্রণে রাখতে জটিল আইন হচ্ছে। এমনও হতে পারে এ আইন রক্ষা করতে গিয়ে ব্রিকফিল্ড মালিকদের অনেক ব্রিক ফিল্ড বন্ধ করে দিতে হতে পারে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০টির মত বন্ধও হয়ে গেছে।
এ ছাড়াও তিনি আরো বলেন, ঈদে ঘরমুখী মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যে সরকারসহ চাঁদপুরের প্রশাসন নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ আলম সিদ্দিকীর পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর, পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম.এ ওয়াদুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মিহির লাল সাহা, ক্যাব আহ্বায়ক বাবু জীবন কানাই চক্রবর্তী, বিশিষ্ট শিল্পপতি শাহিদুর রহমান চৌধুরী, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ: কাইয়্যুম, দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক এ কে এম সফিকুল্লা সরকার, চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, জেলা স্কাউট সম্পাদক অজয় ভৌমিক, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাক হায়দার চৌধুরী, জেলা ন্যাপ সভাপতি আবুল কালাম পাটওয়ারী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর রনজিত বনিক, সদস্য রাধা গোবিন্দ ঘোষ, হিন্দু-বৌদ্ধ-ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রনজিত রায় চৌধুরী প্রমুখ। এ ছাড়াও সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তারা।
সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তগুলোর উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ঈদ ও পূজায় কোন ভাবেই ডেক সেট বাজানো যাবে না। পূজা ও ঈদে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ১ থেকে ৩ তারিখ সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরে ভারী যানবাহন বিশেষ করে ট্রাক, তেলের লরী প্রবেশ করতে পারবে না। জাল টাকা সনাক্তকরণে গরুর হাটে ঐ এটিএম বুথ থাকবে। ঈদের জামাতে বিতর্কিত কোন ব্যক্তিকে দিয়ে নামাজ পড়ানো যাবে না। ঈদের প্রথম নামাজ পৌর ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ নামাজ চিশতীয়া জামে মসজিদে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। বাকী ঈদগাহি মাঠে নামাজের সময়সূচী পত্রিকার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।