চাঁদপুরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বিষয়ে কঠোর হচ্ছে জেলা প্রশাসন। সরকারি নির্দেশ অনুসারে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বাইরে বের হতে হলে জনসাধারণকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। না মানলে রয়েছে জেল-জরিমানা। তাই প্রশাসন থেকে বরাবরই স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। গতকাল এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ ৪টি জায়গায় ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। হাসান আলী স্কুলের মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন্নাহার ৩১টি মামলায় ৩ হাজার ৪শ’ টাকা, ইলিশ চত্বর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসান মানিক ৫৬টি মামলায় ৫ হাজার ৯শ’ টাকা, ওয়্যারলেছ এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিদুজ্জামান ২৭টি মামলায় ৩ হাজার ৯শ’ টাকা, বাবুরহাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান-মাহমুদ-ডালিম ১৭টি মামলায় ৩ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করেন। সর্বমোট ১৩১টি মামলায় ১৪৩ জনকে ১৬ হাজার ২শ’ টাকা অর্থদ- দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খানের নির্দেশনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান এ অভিযানের সার্বিক বিষয় মনিটরিং করেন। অভিযান সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এ সময় করোনায় ভয়াবহতা তুলে ধরে পথচারী, গাড়িচালক, যাত্রী ও সর্বসাধারণকে সতর্ক করতে প্রচারণা চালানো হয়। ড্রাইভারকে মাস্কব্যতীত রাস্তায় বের না হওয়া এবং মাস্কবিহীন যাত্রীদেরকে গাড়িতে না উঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। এ সময় জেলা পুলিশের সদস্য, ব্যাটালিয়ন আনসারের সদস্য, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পেশকারবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সার্বিক সহায়তা প্রদান করে।
অভিযান বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, করোনা মোকাবেলায় আজ চাঁদপুর শহরে ৪টি টীম কাজ করছে। এ টীম মাস্ক বিষয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান স্যারের নির্দেশনায় চাঁদপুর শহরে যেন মাস্ক ব্যতীত কোনো মানুষ চলাচল করতে না পারে। এছাড়াও মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যে নির্দেশনা রয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্যে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান গণমাধ্যমকে আরো বলেন, আমরা চাই সবাই যেনো মাস্ক পরিধান করি। যেহেতু এখন পর্যন্ত করোনার কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি সেহেতু প্রাথমিকভাবে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই প্রতিরোধের কাজ করছে। এই অভিযানের ফলে মানুষের মধ্যে আরো সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সক্ষম হবো।