সোমবার (১৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনোভাবেই পাবলিক প্লেস বা মসজিদ বা অন্য গ্যাদারিং, দুর্গা পূজা এমনকি অন্যান্য যেসব অনুষ্ঠান হবে কোনও অবস্থাতেই কেউ যেন মাস্ক ছাড়া না আসে। এটা আরেকটু ইনফোর্স করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা দৃঢ় ইচ্ছা ও আশা প্রকাশ করেছেন, সবাই যদি মাস্ক ব্যবহারে সচেতন হয় তাহলে অটোমেটিক্যালি এটা থেকে রিলিফ পাবো।’ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা যেন সবাই নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করি। অন্তত যখন বাইরে আসি।’
মাঠ প্রশাসনকে দেওয়া নির্দেশনা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশন দিয়েছি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে আমরা বলে দিয়েছি তারা যেন ইমামদের মাধ্যমে সব মসজিদ থেকে অন্তত জোহর ও মাগরিব নামাজের পর মাইক বা সামনাসামনি নামাজের সময় সচেতন করেন। প্রত্যেকটি মসজিদ, অন্যান্য বাজার বা গণজমায়েত হয়, এমন স্থানে যাতে স্লোগানের মতো (লেখা) থাকে যে, ‘অনুগ্রহ করে মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করবেন না।’ এটা সবার কাছেই রিকোয়েস্ট থাকবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে আবার করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েক দিন থেকে মিটিংয়ে কথাবার্তা বলছেন। নজর দিচ্ছেন সবাই যাতে একটু কেয়ারফুল থাকি, পার্টিকুলারলি আমাদের দিক থেকে আমরা যেন সবাই মাস্ক ব্যবহার করি।
এদিকে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক [সার্বিক] আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানিয়েছেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করবো। সবার জন্য মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে মোবাইল কোর্টগুলো মাঠে নামবে। এছাড়া মানুষের মাঝে সচেতনতাবৃদ্ধিতে কাজ করা হবে এবং আগের মতো মাস্ক বিতরণ করা হবে।
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ