প্রতিবার মুরগির মাংস খাওয়া মানে অ্যান্টিবায়োটিকের একটি মিশ্রণ খাওয়া। এতে একপর্যায়ে ওষুধ হিসেবে রোগীকে দেওয়া অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে খামারে বাণিজ্যিকভাবে পালন করা মুরগিকে বোঝানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের (সিএসই) একটি গবেষণায় এমন দাবি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
গবেষণার জন্য দিল্লিসহ কয়েকটি এলাকার বাজার থেকে মুরগির নমুনা সংগ্রহ করেন গবেষকেরা। গবেষণাগারে পরিচালিত পরীক্ষায় মুরগির ৪০ শতাংশ নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, মুরগির নমুনায় পাওয়া অ্যান্টিবায়োটিক উচ্চমাত্রার নয়। কিন্তু এ ধরনের মাংস নিয়মিত খেলে তা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
অর্থাত্ এ ধরনের মুরগির মাংস নিয়মিত খেলে একসময় চিকিত্সকের দেওয়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ রোগীর শরীরে কাজ না-ও করতে পারে।
ভারতে পোলট্রি মালিকেরা ব্যাপক ও বেপরোয়াভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন বলে গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে।
মুরগিকে দ্রুত বাড়ন্ত করতে এবং সংক্রামক প্রতিরোধে নিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়। ভারতে পোলট্রি খাতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কোনো আইন নেই।