এবার জাতীয় সংসদে মুহাম্মদকে (সা.) ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে মুহাম্মদের (সা.) প্রতিষ্ঠিত মদিনা রাষ্ট্রের সরকারের সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের তুলনা করা হয়েছে। ইসলামই ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ধারণ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হাদিসের অপব্যাখ্যাকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এমন কি মুহাম্মদের (সা.) উম্মতের সাথে বাঙালি উম্মতের তুলনা করে বলা হয়েছে, মুহাম্মদের (সা.) মদিনা রাষ্ট্রের বিরোধিতাকারী বনি কোরায়যার ৬শ’ লোকের কল্লা কেটে দেয়া হয়। এখন আমরা কেন বাঙালি উম্মতের বিরোধিতাকারীদের বিচার করতে পারবো না।
সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বামপন্থী নেতা জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাইন উদ্দিন খান বাদল ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাসিম ওসমান এসব কথা বলেন।
মইন উদ্দিন খান বাদল বলেন, রাসুল (সা.) যখন মক্কায় ছিলেন তখন তিনি ছিলেন ধর্মপ্রচারক। তিনি মদিনায় গিয়ে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি মদিনা সনদ প্রতিষ্ঠা করেছেন। যারা মদিনা রাষ্ট্রের বিরোধিতা করেছেন তাদেরকে মদিনা থেকে চলে যেতে বলেছেন। উম্মাহর বিরোধিতার জন্য রাসুল (সা.) বনি কোরায়যার ৬ শ’ লোকের কল্লা কেটে দিয়েছেন। তাহলে আমরা কেন বাঙালি উম্মতের বিরোধিতাকারীদের বিচার করতে পারবো না।
জামায়াতকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, বান্দার হক আল্লাহ মাফ করেন না। কোনো কিতাব পড়ে হামলা করছেন। চাঁদের মধ্যে হাদিস বিকৃতকারীর ছবি দেখে? প্রশ্ন করতে চাই, রাসুলের কিতাব খুলে দেখেন, আমি যা বলেছি তার ব্যতিক্রম হলে আমাকে প্রস্তারাঘাত করতে পারেন।
নাসিম ওসমান বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ছিলেন। মইন উদ্দিন খান বাদলের বক্তব্যেও এ বিষয়টি বুঝা গেছে। ভারতের মুসলমানরা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাইবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম অমুসলিমের জন্মগত অধিকার নিশ্চিত করে। ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম হতে পারে। খোদ ইসলাম ধর্মনিরপেক্ষতা ধারণ করে। আমরা নাস্তিকদের সমর্থক নই। রাজিব নাস্তিক ছিল না। এ জন্য আমরা তার সমর্থক।