দেলোয়ার হোসাইন॥
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ নদী হিসেবে বিখ্যাত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। তার মধ্যে মেঘনা নদীর গুরুত্বপূর্ণ অংশটুকো চাঁদপুর সীমানায় অবস্থিত। এছাড়া চাঁদপুরের সিমানায় রয়েছে পদ্মা-মেঘনার মিলন মোহনা ও গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মৎস্য সম্পদ ইলিশ পয়েন্ট। এটি চাঁদপুরকে যেমনিভাবে বাংলাদেশ সহ বর্হিবিশ্বের মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখলে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে তেমনিভাবে কিছু ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাঁদপুরের সিমানায় মেঘনা নদীরে পেটে এসে পদ্মা মিলিত হওয়ায় পদ্মার পানির প্রবল চাপ ও মেঘনা প্রবল স্রোত চাঁদপুর নদী সংলগ্ন অঞ্চলগুলো ভেঙ্গে দিয়ে নদীর স্রোতে ভাসিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি অনেকাংশে প্রকৃতি নির্ভর হওয়ায়, কৃত্রিম পদ্ধতিতে তা রোধ করা অনেকাংশেই সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি বছর কৃত্রিম পদ্ধতি হিসেবে মেঘনার পাড় রক্ষার জন্য সরকারী উদ্যোগে বালির বস্তা, পাথর-সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী ভারি ওজনের ব্লক দিয়ে চেষ্টা করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর সরকারী বাজেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নদীর পাড় রক্ষার কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়, এবং নদীভাঙ্গন হিসেবে অঞ্চল হিসেবে চাঁদপুরের জন্যই তা বেশি ব্যয় করা হয়ে থাকে। ইতিপূর্বে প্রায় শত কোটি টাকার একটি বাজেট ব্যয়ের মাধ্যমে নদীর পাড়ের বিশাল এলাকা উন্নত পদ্ধতির বালির বস্তা ও ব্লক সমন্বয়ে সংরক্ষন করায় ভাঙ্গন অনেকাংশে কমেছে। তবে মেঘনা পাড়ের অবস্থিত চাঁদপুর লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্য থেকে অনেকেই জানান, শীতকালে শুষ্ক মৌসুকে কাজে অনেকটা ধীরগতি থাকায় বরাদ্দ অনুযায়ী পুরো কাজ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য বালির বস্তা ও ব্লক না দেওয়া অংশে আগের মতই ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর হরিণা ফেরীঘাট সংলগ্ন লক্ষীপুর এলাকার দক্ষিন অংশ। স্থানীয়দের দাবি, নদী থেকে অপরিকল্পিত ও অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে, সরকারী শত কোটি টাকা ব্যয় করেও নদীর ভাঙ্গন রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এছাড়া বর্তমানে নতুন করে দেওয়া বালির বস্তা ও ব্লক অনেক অংেশ দেবে যাওয়ায়, জোয়ারের সময় বালির বস্তা ও ব্লকের উপর দিয়ে পাড়ে অবস্থিত বাড়িগুলোতে এসে পানির ধাক্কা লাগে। এতে অনেকটা আতংকের মাঝে থাকেন নদীর পাড়ের সহজ-সরল মানুষগুলো। তবে ব্লক ও বালির বস্তার সমন্বয়ে নতুন করে বাঁধ দেওয়ায় নদীর তীরবর্তী মানুষগুলোর আতংকের মাঝেও হাসি মুখ দেখা যায়।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।