চাঁদপুর:
চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় দিন ও রাতে প্রকাশ্যে অবৈধ কারেন্টজাল দিয়ে নিধন হচ্ছে ছোট সাইজের ইলিশ। জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে লক্ষ্মীপুর চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত প্রতিদিন ছোট বড় সাইজের নৌকা দিয়ে শত শত জেলে এ অবৈধ কারেন্টজাল দিয়ে ইলিশের পোনা জাটকা নিধন করতে দেখা গেছে। জাটকা নিধন অভিযানের পর থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বড় ধরনের কোন অভিযান কিংবা নিয়মিত অভিযান না থাকায় জেলেরা প্রকাশ্যে কারেন্টজাল ব্যবহার করছে।
গত কয়েকদিন সরেজমিনে সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাট, ১০নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের রামদাসদী সুইজ গেইট এলাকায় এবং ৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম তরপুরচন্ডী আনন্দ বাজার মেঘনা তীরবর্তীদের জেলেদের শত শত নৌকায় দেখা যায় লক্ষ লক্ষ মিটার ৩০/৩৫ সাইজের কারেন্টজাল। জেলেরা এসব জাল নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে জাটকা নিধনের উদ্দেশ্যে।
রামদাসদী এলাকার কয়েকজন জেলেদের সাথে আলাপকালে জানাগেছে, এখানকার জেলেরা ইলিশ আহরনে কয়েক ধরনের জাল ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে-গোল্ডি জাল, কোনা গোল্টি, বাসা গোল্টি, সাদা জাল। এসব জাল দিয়ে সাধারণত বড় সাইজের ইলিশ আহরণ করে। কিন্তু এক শ্রেনীর জেলে রয়েছে, যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হরহামেশা নিধন করছে ছোট সাইজের জাটকা ইলিশ। রামদাসদী এলাকায় নুরুজ্জামান গাজী, মফিজ গাজী, সিরাজ মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন জেলে রয়েছে যারা সব সময় কারেন্টজাল দিয়ে জাটকা ইলিশ নিধন করছে।
হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় সকাল ও বিকাল ২ বেলায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। এছাড়াও আনন্দ বাজার এলাকায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে জাটকা ইলিশ বিক্রি। আনন্দ বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কয়েকশ জেলে নৌকা। প্রত্যেক নৌকায় রয়েছে কারেন্টজাল। বড় সাইজের ইলিশ আহরণের গোল্টিজাল কোন নৌকায় দেখা যায় না।
কয়েকজন জেলের সাথে আলাপকালে জানাগেছে, তারা সব সময় কারেন্টজাল দিয়ে ছোট বড় সাইজের ইলিশ আহরণ করে। তারা নিষেধ জেনেও কারেন্টজাল ব্যবহার করছে। মাঝে মাঝে কোস্টগার্ডের অভিযান এসে জাল নিয়ে যায়, আবার তারা নতুন জাল ক্রয় করে বলে জানান জেলেরা।
এ ব্যাপারে মৎস্য কর্মকর্তা রতন দত্ত জানান, জাটকা সংরক্ষন অভিযান সময়কালীন ছাড়াও সব সময়ের জন্যই জাটকা নিধন অবৈধ। ছোট সাইজের ইলিশের পোনা জেলেদের নিধন করার জন্য কোন সময় বৈধতা ছিলো না। তবে কারেন্টজাল দিয়ে মাছ ধরার ব্যপারে খুব সহসাই নতুন বিধান আসছে