স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার এলাকার মেঘনা নদীতে অর্ধগলিত যুবকের লাশ ভেসে যেতে দেখা যায়। গতকাল ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় ৮টার দিকে পুরাণবাজার হরিসভা রোডস্থ মেঘনা নদীতে লাশটি ভাসতে দেখে নদীতে থাকা জেলেদের নজরে আসে এবং নদীতে থাকা কচুরিপানার কারণে সামান্য কিছু সময়ের জন্য লাশটি আটকে যায়। লাশের সংবাদ শুনে স্থানীয় মানুষজন তা দেখার জন্য ভিড় জমায়। কিছুক্ষণ পর নদীর স্রোতের টানে লাশটি দক্ষিণ দিকে ভেসে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে লাশটি নদীর উত্তর দিক থেকে আসছিলো এবং তা স্রোতের টানে দক্ষিণ দিকে ভেসে যায়। তারা জানায়, ভেসে যাওয়া যুবকের বয়স আনুমানিক ২২ থেকে ২৪ বছর হতে পারে। গায়ে একটি শার্ট থাকলেও পরনে কিছু ছিলো না। লাশটি উপুড় হয়ে থাকার কারণে মুখমণ্ডল কেউ দেখতে পারেনি এবং ঘটনাটি দ্রুত শহরে ছড়িয়ে পড়ে। লাশের সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর মনির হোসেন জাফরাবাদ এলাকার ইব্রাহিমপুর বোর্ড অফিসের কাছাকাছি মেঘনা নদী থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় লাশটি তুলে এনে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে মর্গে পাঠান। সাব ইন্সপেক্টর মনির জানান, নদীতে ভেসে আসা হতভাগ্য যুবকের নাম মাকসুদুর রহমান, পিতা- আব্দুল মালেক। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন থানার চাঁদপুর গ্রামে। সে ভোলাগামী শ্রীনগর ৩ লঞ্চের খালাসী হিসেবে চাকুরি করতো। গত ৩১ অক্টোবর শ্রী নগর লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ভোলা থেকে ছেড়ে আসে এবং উক্ত লঞ্চটিতে সেদিন তার ডিউটি ছিলো রাত ১টায়। রাত ২টা পর্যন্ত লঞ্চের ডিউটিরত অন্যান্য কর্মচারীরা তাকে দেখে থাকলেও ঢাকা ঘাটে লঞ্চ পৌঁছার পর তাকে আর কেউ দেখতে পায়নি। এ ব্যাপারে তারা মাইকিংও করে। গতকাল লাশের সংবাদ শুনে অন্য লঞ্চে চাকুরিরত একই গ্রামের তার আপন মামা সালাউদ্দিন চাঁদপুর এসে শ্রী নগর লঞ্চ কোম্পানীর চাঁদপুর ঘাটের প্রতিনিধি নজির মুন্সীর সহযোগিতায় চাঁদপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির সাথে যোগাযোগ করে বিকেল ৪টায় ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে পরিধেয় বস্ত্র ও অন্যান্য আলামত দেখে লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ইতিমধ্যে মর্গের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় পুলিশ তার মামার নিকট লাশ হস্তান্তর করে এবং তার মামার কাছ থেকেই নৌপুলিশ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়।