চাঁদপুরের মেঘনা নদীর পানি জোয়ারে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল সান্ধ্যকালীন জোয়ারে সর্বোচ্চ পানির পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ৪.৪৭ সেঃমিঃ। সর্বনিম্ন পরিমাণ ছিলো ৩.৬৯ সেমি। মেঘনার পানি বিপদসীমার ৪৭ সেমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ তথ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের গেজ রিডিংম্যান মোঃ সেলিম জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান আগের দিন রোববার সর্বোচ্চ পানির পরিমাণ ৪.৩৩ সেমি রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সোমবার আগের দিনের তুলনায় ১৪ সেমি পানি বেড়েছে। পাশাপাশি ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া এ দু নদীরও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চাঁদপুরের চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চাল প্লাবিত হয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুরোদমে বন্যা দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বিপদে রয়েছে হাইমচর, চাঁদপুর ও মতলবের চর এলাকার পরিবারগুলো। তারা পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে পানি বাড়ার কারণে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থান দিয়ে বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। বড় স্টেশন রশিদ বোডিংয়ের পেছনে পানি ওঠেছে বলে সেখানকার বাঁধের পাশে আশ্রয় নেয়া বাসিন্দা বিল্লাল জানায়। পুরাণবাজার ঠোঁডার বাসিন্দা আপেল মিয়া (৫০) জানান, পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীতে স্রোতের তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে। এখান দিয়ে ওপরে উঠতে গিয়ে নৌযানগুলোর অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা চেষ্টা করেও ওই স্থান অতিক্রম করতে হিমশিম খাচ্ছে ছোট বড় নৌযান। অনেক নৌযান দুর্ঘটনারও শিকার হচ্ছে।
প্রচ- স্রোতের কারণে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুটের ফেরি চলাচল। বিআইডাবিস্নউটিসির ব্যবস্থাপক ইমরান হোসেন রুহান জানান পানির টান এতো বেশি ফেরি চালানো যাচ্ছে না। দুই পাড়ে গাড়ির জট লেগে আছে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র তথ্যসূত্রে জানা যায় দেশের উওরাঞ্চলের বন্যার পর ঢাকা ও আশপাশের জেলার নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যা ধেয়ে আসছে চাঁদপুরের দিকে। ইতিমধ্যে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পুরোদমে বন্যা দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এসব স্থানে বন্যার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে।