প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আযহা আর শারদীয় দুর্গা উৎসব শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে কর্মজীবি মানুষের কর্মস্থলে ফেরার পালা। চাঁদপুর শহরের লঞ্চ টার্মিনাল, বড় স্টেশন রেলওয়ে প্লাটফর্ম ও কোর্টস্টেশন রেলওয়ে প্লাটফর্মে যাত্রী ভিড় বেড়েই চলছে। লঞ্চে ঢাকা অভিমুখি যাত্রীরা লঞ্চে টিকেট পাচ্ছেনা। যদি পেয়ে থাকে তাও আবার ২/৩গুণ বেশি টাকায় তা ক্রয় করতে হচ্ছে। অপর দিকে বড় স্টেশন রেলওয়ে প্লাটফর্মে ঈদের একদিন পর থেকে মেঘনা ট্রেনের যাত্রীরা ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করতে গেলে টিকেট কাউণ্টারের লোকজন যাত্রীদের জানায়, টিকেট শেষ হয়ে গেছে। এনিয়ে যাত্রীরা বিভ্রান্তের মাঝে পড়তে হয়। জানামতে, রাত ১২টার পর বড়স্টেশনে মেঘনা ট্রেনের টিকেট দেয়া হয়। আর রাত ১০টায় যাত্রীদের বলা হয় ট্রেনের টিকেট নেই। পরে রাতে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা লঞ্চ যাত্রীদের কাছে টিকেট কাউণ্টার থেকে অধিক দামে চট্টগ্রাম অভিমুখী যাত্রীদের কাছে মেঘনা ট্রেনের টিকেট বিক্রি করা হয়। তাছাড়া বড় স্টেশন রেলওয়ে টিকেট মাস্টারদের সাথে হাত করে কালোবাজারি চক্রের হাতে আন্তঃনগর মেঘনার টিকেট তুলে দেয়া হয়। টিকেট কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা রকেটঘাট এলাকায় দাঁড়িয়ে থেকেও রেলওয়ে টিকেট কাউণ্টারের সামনে দাঁড়িয়ে তারা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অধিক দামে টিকেট বিক্রি করে থাকে। রেলওয়ে থানা পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী দেখেও যেনো না দেখার মতো রয়েছে।
কাউণ্টারের ভেতরে অধিক মূল্যে রেলওয়ের কর্মরত লোকজন টিকেট বিক্রি করে বলে ভুক্তভোগী ট্রেন যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে শহরের কালিবাড়ি কোর্টস্টেশন রেলওয়ে প্লাটফর্মে বিকেল ৪টা থেকে আন্তঃ নগর মেঘনা ট্রেনের টিকেট দেয়া হয়। আর ঈদুল আযহা ফিরতি মানুষ কর্মস্থলে যেতে দুপুরের পর থেকে ভিড় জমাতে থাকে। যাত্রীরা লাইন ধরলে তার মাঝে বড় স্টেশন থেকে বেশ কয়েকজন টিকেট কালো বাজারি চক্রের সদস্য যাত্রী সেজে লাইনে ঢুকে টিকেট সংগ্রহ করে থাকে। আর সেই টিকেট রাতের আধারে বড় স্টেশনে অধিক মুল্যে বিক্রি করে থাকে।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।