মতলব উত্তর প্রতিনিধি :
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মতলব উত্তর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লবাইরকান্দি গ্রামের সেচের ড্রেন বন্ধ করে দেয়ায় প্রায় ৪০ একর জমিতে পানির অভাবে ধান চাষাবাদ বন্ধের উপক্রম হওয়ায় আশঙ্কা করছে ভুক্তভোগী কৃষক। শিমুল পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সভাপতি বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া গত ২৪ জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে এ ব্যপারে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালীপুর পাম্প হাউজ থেকে ব্রাহ্মনচক সেচ ক্যানেলের লবাইরকান্দি-ভূঁইয়াকান্দি-কুমারদোন সেচ ড্রেনটির কিছু অংশ লবাইরকান্দি গ্রামের নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়ার ছেলে আক্তার হোসেন ভূঁইয়া ও মুক্তার হোসেন ভূঁইয়া জোরপূর্বক বন্ধ করে গাছ রোপন করে। এতে লবাইরকান্দি, ভূঁইয়াকান্দি, কুমারদোন গ্রামের ৪০ একর জমিতে সেচের পানি যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পানি না পেয়ে এ জমির কৃষকরা ধান রোপন করতে পারছে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া, কৃষক শহিদ উল্লাহ, হাবিব উল্লাহ, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. সফিউল্লাহ ও শিমুল পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির নেতৃবৃন্দ কয়েক দফা আক্তার হোসেন ভূঁইয়া ও মুক্তার হোসেন ভূঁইয়ার সাথে আলোচনা করেও কোন ফল হয়নি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সালাউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আক্তার হোসেন ভূঁইয়া ও মুক্তার হোসেন ভূঁইয়াকে ড্রেন খোলে দেয়ার আহ্বান জানান