
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৫/৭ বছর আগে মতলব উপজেলার ২ সহস্রাধিক হেক্টর জমিতে আখ চাষ হতো ৷ চলতি বছর চাঁদপুর গেণ্ডারী ১২০ হেক্টর ছাড়াও মেস্ত্রীমালা ২০ হেক্টর, অমৃত ও অন্যান্য জাতের ১০ হেক্টর মোট ১৫০ হেক্টর জমিতে আঁখ হয়েছে ৷ এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ এলাকায় আখচাষ পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষি বিভাগ৷ উপজেলা কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গুঁড় তৈরির জন্য ও এ এলাকায় আখ চাষ করা হয়৷ এ এলাকায় আখের গুঁড়ের চাহিদাও কম নয়৷ বর্তমানে প্রতিকেজি আখের গুঁড় পাইকারি ৭০ ও খুরচা ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি আঁখ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকায়৷ বিগত বছরগুলোতে আঁখ ও আখের গুঁড়ের দাম অনেক কম ছিল। ফলে আখ চাষ করে কৃষকদের উৎপাদন খরচের টাকাও উঠতো না৷ বাধ্য হয়ে কৃষকরা আঁখ চাষ বাদ দিয়েছেন বলে জানা যায়৷
বর্তমানে শ্রমিক সঙ্কট, শ্রমিকদের উচ্চ মুজরি, ভাল চারার অভাব এবং ধান, কলা ও অন্যান্য সবজি চাষের দিকে কৃষকরা ঝুঁকে পড়ায় আঁখচাষ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ৷ মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আখের জমিতে প্রচুর সার ও কীটনাশক ব্যবহার এবং শ্রমিকদেও মজুরি বেশির কারণে কৃষকরা আখচাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন৷ তবে এ অঞ্চলে আখ চাষ বাড়াতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করছে৷