মিজান লিটন-
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের চৌরাসত্দার পূর্ব পাশ্র্বে দক্ষিণ বালিয়া বাখরপুর হামিদিয়া মাদ্রাসার সামনে বখাটে জহির খানের মোটর সাইকেলের ধাক্কায় নিহত হয়েছে স্কুল ছাত্রী সাথী আক্তার (১৩)। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বিকেলে। চান্দ্রা ইয়াকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী সাথী আক্তার স্কুলে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরছিলো। এ সময় মদনা খাঁ বাড়ির নাছির খানের ছেলে জহির খান (২৩) ইচ্ছে করে মোটর সাইকেল দ্রুত গতিতে চালিয়ে সাথী আক্তারের গায়ের উপর উঠিয়ে দেয়। সাথে সাথে সাথী আক্তার রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। সাথীকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে উন্নতর চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা নেয়ার পথে সাথী মারা যান। সাথী মারা যাওয়ার পরই এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোক ছেলের পক্ষ নিয়ে সালিসীর জন্য বসে। তাদের মধ্যে ছেলের পক্ষে ইউনিয়নের ক’জন মেম্বার উপস্থিত ছিলেন। জানা যায় ওই বৈঠকে ক’জন প্রভাবশালী লোক সাথীর পরিবারকে হুমকি প্রদান করে থানায় মামলা না করার জন্য। গতকাল নিহত সাথী আক্তারের বাবা ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান মজুমদার বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেন, যার নং-১। তিনি মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন তার মেয়ে সাথী চান্দ্রা ইয়াকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণী ছাত্রী। প্রতিদিনই বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে স্কুলে আসা-যাওয়া করতো। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রায়ই জহির তাকে বিরক্ত করতো এবং বিভিন্ন আজেবাজে কথা বলতো। গত সোমবার সে বাসায় ফেরার পথে বেপরোয়াভাবে মোটর সাইকেল চালিয়ে আমার মেয়েকে ধাক্কা দেয়। সাথে সাথে সে ছিটকে পড়ে যায়। মঙ্গলবার তার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে যাত্রাবাড়ি এলাকায় মৃত্যুবরণ করে। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ মডেল থানায় নিয়ে আসে। ময়না তদন্ত শেষে সাথীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে গতকাল রাতেই তাকে দাফন করা হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বখাটে যুবক জহির প্রায়ই স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতো ও বিভিন্ন আজেবাজে মন্তব্য করতো।