স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচরে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট হচ্ছে না। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে এক শুনানির পর এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে সরকারদলীয় প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র রফিকুল আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী আজ এ পৌরসভার মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থী সারোয়ারুল আবেদীনের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের একটি আদেশের ওপর ছয় সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
সারোয়ারুল আবেদীনের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের ফলে সারোয়ারুল আবেদীনের এবারের নির্বাচনে আর অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকল না।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম সারোয়ারুল আবেদীনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে সারোয়ারুল আবেদীন নির্বাচনের আপিল কর্মকর্তা চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন। জেলা প্রশাসক ওই আপিল খারিজ করে দেন। এরপর গত ১৩ ডিসেম্বর বিএনপির প্রার্থী ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি শেষে আদালত মনোনয়নপত্র বাতিলের ওই আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। এতে তাঁর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বাধা দূর হয়।
কিন্তু পরে (১৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল আলম। আজ মঙ্গলবার ছিল ওই আপিলের শুনানির নির্ধারিত দিন। উচ্চ আদালতে ছুটি থাকায় এ শুনানি হয় চেম্বার বিচারপতির আদালতে। শুনানি শেষে আদালত হাইকোর্টের রায়টির কার্যকারিতা ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেন। ফলে সারোয়ারুল আবেদীনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া রায়টি বহাল হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আব্দুল বাসেত মজুমদার। একাধিকার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে মেয়র প্রার্থী রফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের এ রায়ের ফলে মেয়র পদে এখানে আর কোনো প্রার্থী নেই। এখন নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হেকমত আলী প্রথম আলোকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো সুপ্রিম কোর্ট বা নির্বাচন কমিশন থেকে লিখিত আদেশ পাইনি। আদেশ পাওয়ার পরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইন বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছেংগারচরে মেয়র পদে একক প্রার্থী হওয়ায় রফিকুল আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে আর বাধা রইল না। আদালত ছয় সপ্তাহের যে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন তার মধ্যেই গেজেট হয়ে যাবে। এরপর যদি সারোয়ারুল আবেদীন মামলাটি চালিয়ে যান সেটা চলতে পারে।