চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
হাজীগঞ্জের পাচৈ গ্রামে এক বাল্য বিয়ে সূত্রধরে মেয়ের পরিবার থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাংবাদিকের নাম ভাঙ্গিয়ে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০ গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের পাচৈ গ্রামের গাজী বাড়ির শাহ্ আলম গাজীর মেয়ে খাদিজা আক্তার(শান্তা) এর সাথে একই উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের পালিশারা গ্রামের মিজি বাড়ির আব্দুল মান্নান মিজির ছেলে মো. শরীফ হোসেনের বিবাহ গত ১৮ ডিসেম্বর বুধবার দিন ধার্য ছিল। পাচৈ ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. নান্নু মিয়া দৈনিক চাঁদপুর বার্তার হাজীগঞ্জ ব্যুরো ইনচার্জ সাংবাদিক খন্দকার আরিফের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রবাসী শাহ্আলমের স্ত্রী মুন্নী আক্তার কে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। ইউপি সদস্য নান্নু মিয়া মুন্নী আক্তারকে বলেন সাংবাদিক আরিফকে টাকা না দিলে আপনাদের বিয়ে বন্ধ করে দিবে। পরে ইউপি সদস্যের চাপ প্রয়োগে মুন্নী আক্তার ১৫ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়। এ ঘটনা উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তাদের কাছ থেকে শুনতে পেয়ে প্রবাসী শাহ্আলমের স্ত্রী মুন্নী আক্তারের কাছ থেকে বিষয়টি জানা যায়, তাৎক্ষনিক আরিফ ১৫ হাজার টাকা আদায় সম্পর্কে প্রমান করেন। কিন্তু চাঁদপুর বার্তার সাংবাদিক খন্দকার আরিফ এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন নি বলে তাদের কাছে প্রমান হয়। এ প্রসঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রী মুন্নী আক্তার চাঁদপুর বার্তাকে বলেন, আমার মেয়ে খাদিজা আক্তার শান্তা কোর্টের মাধ্যমে গত ৭/৮ মাস পূর্বে বিয়ে হয়। ঘটনাটি সম্পূর্ণ আমাদের আড়ালে থেকে যায়। এটি শুনার পর উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে গত ১৮ ডিসেম্বর বুধবার আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে যাই। তবে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমার মেয়ে শান্তা আমাদের হেফাজতে থাকবে। এরই মাঝে বাত সাজে ইউপি সদস্য নান্নু মিয়া। তিনি চাঁদপুর বার্তার সাংবাদিক খন্দকার আরিফের নাম ভাঙ্গিয়ে ৩০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে। অনেক চাপ প্রয়োগের পর আমি বাধ্য হয়ে ইউপি সদস্য নান্নু মিয়ার হাতে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে থাকি। অথচ এখন শুনতে পেলাম চাঁদপুর বার্তার সাংবাদিক এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। আমি এখন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেব।
একটি সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য নান্নু মিয়া ১৫ হাজার টাকা এলাকার এক শ্রেণীর যুবকদের সাথে ভাগ বাটোয়ারা করেন। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য নান্নু মিয়ার মোবাইল ফোনে(০১৮৩৫-৩৪৫৪৯২) যোগাযোগ করলে তিনি টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে মোবাইল ফোনটি কেটে দেন। এর পরই মোবাইলটি বন্ধ করে পেলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বেলাল বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত নয়। তবে এখন শুনতে পেলাম। ইউপি মেম্বার নান্নু এ ধরনের কাজে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।