শাহরিয়ার খাঁন ॥ চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের মৌশাদী রেল ষ্টেশনের পিছনে রেলওয়ের একটি পুকুর ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ফেলে ভড়াট করে দখল করছে দখলবাজরা।
থেমে নেই এই দখলবাজদের দৌড়াত্ব্য তাদের রুখবে কারা এমনটাই প্রশ্ন সচেতন মহলের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত দুই দিন যাবত এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল দিনে দুপুরে মৌশাদী রেল ষ্টেশনের পিছনের অংশে রেলওয়ের একটি পুকুর ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ফেলে ভড়াট করছে।
এসময় এই প্রতিবেদক ভরাটের দৃশ্য ক্যামেরা বন্ধী করলে মৌশাদীর দখলবাজ মাইনুল এসে বলেন, এই জায়গাটি মৌশাদী রেল ষ্টেশন পরিচালনা কমিটির সভাপতি নূরু পাটওয়ারী ও জীলন মেম্বার ভরাট করছে। আর আমি নিজেই দায়িত্ব দিয়ে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ফিলে ভরাট করছি। আপনারা নূরু পাটওয়ারী ও জীলন মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করে সব সেরে নিন। ছবি তুলে আর পত্রিকায় নিউজ করলে কি লাভ হবে।
ঘটনাস্থলে সাংবাদিক আসার খবর শুনে নূরু পাটওয়ারী এসে এই প্রতিবিদকের বলেন, চাঁদপুরে দায়িত্বরত রেলওয়ের কর্মকর্তার ও চট্রগ্রাম বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করেই মৌশাদী রেল ষ্টেশনের পিছনে পুকুরটি ভরাট করছি। স্টেশনের ভবনটির ভাটল থেকে রক্ষার জন্য পিছনের পুকুটি ভরাট করা হয়েছে। এতে আমি ব্যাত্তিগত অর্থ ব্যায় করে ভরাটের কাজটি করেছে।
চাঁদপুর লাকশাম রেলওয়ের ভূমি ও কোয়াটারের দ্বায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এসএসএ/ই-কর্ম রাম নারায়ন দরের মুঠোফোনে পুকুর ভরাট করে দখলের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেলওয়ের পুকুর ভরাট কওে দখলের বিষয়টি জানতে পেরে মৌশাদীর জীলন মেম্বার সহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। রেলওয়ের সম্পত্তি কোন ভাবেই কাউকে দখল করতে দেওয়া হবে না। যারা ভরাট করে দখলের পায়তারা করছে তার রেলওয়ের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গীয়ে নিজেরা সুবিধা নিচ্ছে। তাদেও বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে রেলওয়ের পুকুর ভড়াট করে দখল করার খবর শুনে চাঁদপুর স্থানীয় ও জাতীয় প্রতিকার বেষ কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে সেই দখলবাজরা তাদের ম্যেনেজ করে। যাতে রল ষ্টেশনের পিছনের অংশে রেলওয়ের একটি পুকুর ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ফেলে ভড়াটের খবর প্রত্রিকায় প্রকাশিত না হয়।
মৌশাদী ষ্টেশনের আশে পাশের কয়েকটি দোকানে বসে থাকা বেশ কয়েকজন লোক জানায়, দিনের পর দিন এই প্রভাবশালী দখলবাজরা রেলওয়ের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। এই এলাকার জিলন মেম্বার , নূরু পাটওয়ারী ও মৌশাদী বাজারের রড সিমেন্টের দোকানদার মাইরুল ষ্টেশনের পিছনের রেলওয়ের পুকুর ড্রেজারের মাধ্যমে বালু দিয়ে ভড়াট করে নিজেরা দখল করে মার্কেট নির্মানের পায়তারা করছে। এই দখলবাজদের রুখবে কারা এটাই সবার প্রশ্ন ? রেলওয়ের জায়গা এখনি দখল মুক্ত করতে হবে আর নইলে দিন দিন রেলওয়ের সম্পত্তি বি-দখল হয়ে যাবে। আর এই দখলবাজদেও বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করলেই রেলওয়ের সম্পত্তি দখল মুক্ত করা সম্ভব হবে।