স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর-ঢাকা নৌ-পথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী এমভি ময়ূর-২ লঞ্চে গতকাল শুক্রবার একদল শিবির কর্মী হামলা চালিয়ে লঞ্চের স্টাফসহ কমপক্ষে ২০জন যাত্রীকে আহত করেছে। এ ঘটনায় চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ দুই শিবিরকর্মীকে আটক করেছে।
জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় এমভি ময়ূর-২ লঞ্চটি ঢাকা সদরঘাট থেকে গতকাল দুপুর দেড়টায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে লঞ্চটির দুটি ইঞ্জিনের মধ্যে একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। যার ফলে লঞ্চটি ধীরগতিতে চলছিল। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে লঞ্চটি চাঁদপুর নৌ-সীমানার এখলাসপুর নামক স্থানে আসলে লঞ্চে থাকা একদল শিবির কর্মী লঞ্চের মাস্টার ও সুকানির উপর চাপ প্রয়োগ করে লঞ্চ দ্রুত গতিতে চালাতে বলে। তখন তারা একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে বলে জানালে শিবির কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে মাস্টার, সুকানিসহ স্টাফদের উপর হামলা চালায় এবং লঞ্চের ভেতরে দরজা, জানাল ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় যাত্রীরা আতঙ্কে ছুটাছুটি করে উপর তলা থেকে নিচে নামতে গিয়ে লঞ্চ স্টাফসহ কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী মারাত্মক আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয় লঞ্চের মাস্টার শিপন (৩০), লঞ্চ ম্যানেজার আব্দুস সালাম (৫০), কেরানী আবু সাঈদ (৩৫), মোঃ সিরাজ (৩০) ও কেবিন বয় শাহজাহান (২০)। এরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এ খবর লঞ্চ থেকে চাঁদপুরের পুলিশ সুপারকে জানানো হলে তাৎক্ষণিক নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে অবস্থান নেয়। লঞ্চটি সন্ধ্যা ৬টায় চাঁদপুর ঘাটে পৌঁছলে লঞ্চে থাকা শিবির কর্মীরা লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়ে ও নৌকা দিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় পুলিশ মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪৫), পিতা আহমেদ ও আল-আমিন (২৬), পিতা মোঃ খোরশেদ আলমকে আটক করতে সক্ষম হয়। এদের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। এ ব্যাপারে লঞ্চের ম্যানেজার আব্দুস সালাম বাদী হয়ে নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আটককৃতরা জানায়, তারা ঢাকা বাংলা মোটর এলাকার শিবির কর্মী। তারা ১৫জন চাঁদপুরে আসতেছিল। এদিকে এদেরকে ছেড়ে দিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকর্তারা টেলিফোন করে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জাহিদ হোসেনকে চাপ প্রয়োগ করছে বলে তিনি জানান।