স্টাফ রিপোর্টার: ॥ চাঁদপুরে এমভি আব এ জমজম লঞ্চের কেবিনে তরুনী হত্যার ঘটনায় আটক ৩ আসামিকে জেলাকারাগারে প্রেরন করেছে আদালত। এমভি আব এ জমজম লঞ্চের লঞ্চের ঘাট সুপারভাইজার বিপ্লব সরকার বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। এই তরুনি হত্যার ঘটনায় পুলিশ লঞ্চ সুপারভাইজার ও ম্যেনেজার সহ ৫ জনকে আটক করে ২ জনকে পরে মুছলেখা রেখে ছেরে দেয়। বাকি ৩ কেবিন বয়কে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরন করে। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে প্রেরন করে।
আবএ জমজম লঞ্চটি পুলিশ জব্দ করলেও আদালতের অনুমতি না নিয়েই মালিক পক্ষের জিম্মায় দিয়ে দেওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। লঞ্চ থেকে উদ্ধার করা তরুনির নাম ঠিকানা ও পরিচয় এখনো পায়নি পুলিশ। তরুনীর লাশ পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে আঞ্জুমান মফিজুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করলে তারা জানাজা শেষে লাশ দাফন করে।
উল্লেখ্য, হাইমচর নিলকমল থেকে সোমবার রাতে ৩০ বছর বয়সি অজ্ঞাত এক যুবতিকে নিয়ে এক যুবক এমভি আবএ জমজম লঞ্চে ১১২নং স্টাফ কেবিন ভাড়া নেয়। পথেই ঐ কেবিনের ভিতরে ঘাতক যুবতির গলায় পরিহিত তাবিজের কাইতন পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। ঢাকায় লঞ্চ ভিড়ার পর কেবিনের বাইরের দরজা তালা মেরে ঘাতক পালিয়ে যায়। লঞ্চটি পুনরায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হলে কেবিন বয়রা যুবতির মৃত দেহটি বিছানায় পরে থাকতে দেখে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনা জানা জানি হলে চাঁদপুরের নৌ পুলিশ লঞ্চ ঘাটে ভিড়ার পর কেবিন থেকে মৃত দেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ কেবিন বয়,লঞ্চের সুপাভাইজার ও ম্যনাজার সহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। হাই স্পিড কোম্পানীর মালিক মাহমুদুর রহমান খোকন এ হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপ দিতে মডেল থানা পুলিশের সাথে সমোঝোতা করে আবে জমজম লঞ্চের ঘাট সুপাভাইজার বিপ্লব সরকারকে বাদী করে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায়। মামলা নং-১৪ তাং ০৭/০৬/২০১৬। পুলিশ বাদী হয়ে এ হত্যা মামলাটি না করার কারনে মূল রহস্য অন্তরালে থেকে যাওয়ার আশংকা করছে সচেতন মহল।
ঘটনার দিন রাতেই পুলিশ জব্দকৃত আবে জমজম লঞ্চটি আদালতের নির্দেশনা না নিয়েই মালিকের জিম্মায় দিয়ে দেয়। লঞ্চটি চাঁদপুর না রেখে রাতেই ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে আটককৃত লঞ্চের ৫ ষ্টাফকে ছাড়িয়ে নিতে তদবির করতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় মামলার বাদিসহ লঞ্চ কতৃপক্ষকে।
এ ব্যপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিজামউদ্দিনের কাছে জব্দকৃত লঞ্চের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লঞ্চটি জব্দ করার পর ওসি সাহেবের নির্দেশে মালিক পক্ষের কাছে জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যখন প্রয়োজন হবে তখন নিয়ে আসা হবে।
মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ অলিউল্লা জানায়, লঞ্চটি জব্দ করে আপাতত মালিকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর তারা লঞ্চ চলাচল করাতে পারবে। যখন আমাদের প্রয়োজন হবে তখনি তাদের কাছ থেকে জিম্মায় রাখা লঞ্চটি নিয়ে আসা হবে।