বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তাগণ
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে আঘাত হানার প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর শহরেও বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ৬ ডিসেম্বর রোববার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সকল অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অতিক্রম শেষে পুনরায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ইউছুফ গাজী ও ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু। পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী। বক্তাগণ কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ৭১’এর পরবর্তী সময় যখন জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হলো, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? কোথায় ছিল আপনাদের ফতোয়া? কোথায় ছিল আপনাদের নীতিকথা? আলেম সমাজকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু ভুল ফতোয়া দিয়ে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগসহ দেশের সচেতন মানুষ তা প্রতিহত করবে চিরতরে। কোনো অন্যায় ফতোয়া দিয়ে আপনারা পার পাবেন না। যে মাওলানা নামধারীরা পবিত্র কোরআনে আগুন দিতে পারে, তাদের ফতোয়া আমরা মানি না। আজ আপনারা ফতোয়া দিচ্ছেন ভাস্কর্য থাকবে না, মূর্তি থাকবে না। মূর্তি আর ভাস্কর্য কী জিনিস তা আমরা জানি। তাই আমাদেরকে বোকা ভাববেন না। ৭১ সালে আপনাদের ভূমিকা কী ছিল তা এদেশের মানুষ জানে। সেদিনও আপনাদের কার্যকলাপ দেশের মানুষ গ্রহণ করেনি আজও গ্রহণ করবে না। আজ ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলছেন, বিশ্বের কোন্ দেশে ভাস্কর্য নেই? পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ইরানসহ বিশ্বের সকল দেশেই ভাস্কর্য রয়েছে। কিন্তু সে সকল দেশেতো ভাস্কর্য নিয়ে কোনো আন্দোলন ফতোয়া নেই। তাহলে বাংলাদেশে কেনো এই ফতোয়া তা মানুষ জানে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে জাতির জনকের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। জামাত-শিবির-বিএনপি কোনো চক্রই জাতির জনকের ভাস্কর্য নির্মাণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। দেশের সচেতন মানুষ তা প্রতিহত করবে। বক্তাগণ আরো বলেন, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই এই ফতোয়া। কোনো ফতোয়া দিয়ে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমসহ বাঙালির মন থেকে জাতির জনকের অবদান মুছে ফেলা যাবে না। সমাবেশে অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, আইয়ুব আলী বেপারী, আলী আর্শ্বাদ মিয়াজী, অ্যাডঃ সাইফুদ্দদিন বাবু, আমিনুর রহমান বাবুল, নূরুল ইসলাম নূরু, শাহজাহান মিয়া, অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণ, আঃ আজিজ খান বাদল, মাহফুজুর রহমান টুটুল, মোহাম্মদ আলী মাঝি, অ্যাডঃ হেলাল হোসাইন, ফরিদা ইলিয়াছ, রুমা পাটওয়ারী, জহির উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেনসহ জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা খ- খ- মিছিল নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপস্থিত হতে থাকেন। তাদের ব্যাপক উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সম্মুখস্থান জনসমাবেশে রূপ নেয়।