স্টাফ রিপোর্টার:
সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল ৭ এপ্রিল শনিবার সকাল ৯টায় সিভিল সার্জন কার্যালয় সম্মুখ থেকে স্বাস্থ্য দিবসের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এর নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা-সবার জন্য সর্বত্র এ প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাইদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান বলেন, যার পেটে ভাত নেই, সেও বলবে ভালো আছি। আমার মধ্যে যদি সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে সেই সমস্যা আমাকেই দূর করতে হবে। এক সময় আমেরিকায় প্রাণের হলুদের গুড়া ব্র্যান্ড করা হয়। এর কারণ ছিল একজন ব্যক্তি অসুস্থ হয়েছিল। তখন মেডিকেল বোর্ড থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী থেকে দেখা গিয়েছিল প্রাণের হলুদের গুড়ায় শিশার পরিমাণ বেশি ছিল। তাই তা ব্যান্ড করা হয়। আজকে আমাদের ফুসফুসে সমস্যা দেখা দিল। কিন্তু গত বছর থেকে ধুমপান শুরু করার কারণে আজকে এই সমস্যার সৃষ্টি। তিনি আরোও বলেন, জন্মের সাথে মৃত্যু জড়িয়ে আছে। দেহ নামে মন্দিরে আমি কী গ্রহণ করব তা জানা দরকার। নিঃশ্বাসে আমি কী নিচ্ছি তাও জানা দরকার। মন কী যে যায় যে গানটি লিখেছে তার জ্ঞান নেই। শিশু কিশোর পার করে সবাই যৌবনে এসেছে। তাও নারী-পুরুষ হয়ে। সমস্ত কিছুর সাথেই স্বাস্থ্য অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। পরিবারের ছেলে মেয়ে সবাইকে নিয়েই আমরা কেউ নিরাপদে নেই। স্বাস্থ্য বলতে আমরা ড. আর মেডিসিন নিয়েই আছি। কিন্তু না এ নিয়ে থাকলে চলবে না। আপনার দেহের পঞ্চ ইন্দ্রিয়টি, মনকে ও স্বাস্থ্যসহ সপ্ত ইন্দ্রীয়কে জানতে হবে। সুস্থ্য থাকতে হলে নিজেকে জানতে হবে। ভারতবর্ষের চিকিৎসকরা তার পেশাকে সেবা ও ঈশ্বর বলে মনে করে। সেবা শব্দের অর্থ হলো অন্যের উপকার করা। অর্থের বিনিময়ে কখনই সেবা হয় না। সেবা হলো এবাদত। মানুষ ¯্রষ্টার জায়গায় স্থান দখল করে নেয় সেবার মাধ্যমে। পাওয়ার আশা ত্যাগ করে সেবায় নিজেকে ব্রত রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম বলেন, আমরা যে যেখানে থাকিনা কেন আমাদের স্¦াস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চে ফাস্ট এইড বক্স রাখা প্রয়োজন। একজন স্টাফ যেন এ বিষয়ে কিছু জানে তার জন্য কর্মশালার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সচেতনতার মাধ্যমে কী করলে সুস্থ্য থাকা যায় তা আমাদের সকলকে জানতে হবে এবং তা প্রত্যন্ত গ্রামে ছড়িয়ে দিতে হবে। সরকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অনেক চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। ডাক্তার যেখানে দায়িত্ব পালন করার কথা সেখানে তারা থাকেন না। নার্স ও অন্যান্য স্টাফরা রোগীদের সেবা দিয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার বসার স্থান নেই রোগীর ছিটের কারণে। তারা এখানে চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে সেবার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তাকে স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে পাচ্ছে না।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম মন্টু, পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ, ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম, সূর্যের হাসি ক্লিনিক ম্যানেজার (নতুন বাজার) বেবি সাহা, সূর্যের হাসি ক্লিনিক ম্যানেজার (পুরাণ বাজার) সাহেদ রিয়াজ, পিএইচডি সংস্থার মোঃ তাওহীদুল ইসলাম প্রমুখ।