মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি: যুবলীগ নেতা খবিরের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় সারা দিন গুন্জন ছিল। মামলার আসামী ও রাঘব বোয়ালরা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে এখনো। সাধারন মানুল ও নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। চাঁদপুর-২(মতলব উওর- মতলব দক্ষিন) আসনের সংসদ সদস্য এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এম রফিকুল ইসলামের পিএস মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগ নেতা খবির হোসেন জনি(৪০)। সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে রক্তাক্ত জখমে মারাত্মক আহত করেছিল। তাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে প্রথমে মতলব সরকারি হাসপাতালে এবং পরে আশংকাজনক অবস্থায় চাঁদপুর নেওয়া হয় হয়েছিল।সেখানে অবস্থার অবনতি হলে। পরে ঢাকার গ্র্যান লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার হামলার কথা শুনে মতলব উত্তর ও দক্ষিণের আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যায় দেখার জন্য।
জানা যায়- গত ২৯ আগষ্ট রাত আনুমানিক ১২টার সময় মতলব টিএন্ডটি অফিসের সামনে তাকে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছিল। ড্কা-চিৎকার শুনতে পেয়ে শিবলু, জিতু সহ অনেকেই দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে খবির হোসেনকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছে। এদিকে গতকাল মতলব শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকে আটক করেছে। আটকৃতরা হচ্ছে- নুরুন নবী ও নজরুল ইসলাম। তাদের বাড়ী দক্ষিণ বাইশপুর গ্রামে।আদালতে নজরুল ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি রেকর্ড করা হয়েছে বলে, জানা যায়। যদিও নজরুল আদালতে রাঘব-বোয়ালদের নাম প্রকাশ করে নাই। নিহত খবির হোসেনের লাশ নিয়েও চলছে রাঘব-বোয়ালদের ষড়যন্ত্র। ধানমন্ডি গ্রীন লাইফ হাসপাতালের আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই চলে যান পরপারে। ১১টায় দিকে খবির নেই খবরটি ছড়িয়ে পরলে মতলবে বিভিন্ন এলাকায় ভাংচুর থেকে শুরু করে গাড়ি পোড়ানোর চেস্টাও করেন নেতাকর্মিরা। নওগাও থেকে একটি বিশাল মিছিল মতলবের দিকে আসতে থাকলে দগরপুর বাজারের কাছে আসলেই পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মতলব বাজারে বিভিন্ন দোকান পাট সহ স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ হয়ে যায়। মতলব-পেন্নাই সড়কে অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। মতলবের চারিদিকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকার কারনে কোন অপ্রতিকর ঘটনা থেকে রেহাই পেলো মতলব বাসী ।
মতলব দক্ষিণ থানার ইনপেক্টর তদন্ত মোঃ মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানায়- এ ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকে আটক করেছে। আরও আসামীদের ধরতে মতলব উত্তর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান করেছেন বলে জানা যায়। মামলা হয়েছে আহত খবির এর পক্ষে; কিন্ত আমার ভাই এখন নেই। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের কাহাকেই ছাড়বোনা। আমরা জানি আমার ভাইকে কারা হত্যার পরিকল্পনা করেছে। নিহত খবিরের বড় ভাই মো: মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। বাদীর ভাইয়ের সাথে কথা বল্লে তিনি জানান দরকার হলে মামলা আবার করবো। চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার আমির জাফর, সহকারি পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন সহ মতলব দঃ থানার অফির্সাস ইনচার্জ খাঁন মোঃ এরফান ঘটনার জায়গাটি পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার আমির জাফর বলেন- এ ঘটনার সাথে যারা জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না। আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। এলাকার লোক জন আরও বলেন সত্যি কারের দোষী ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হউক। ক্ষমতার দন্ডের কারনেই খবিরকে হত্যা করা হয়েছে। চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদের পিএস প্রথম ছিলেন ভি পি আতাউর রহমান,২য় বার ছিলেন হাবিবুর রহমান,৩য় বার ছিলেন দেওয়ান পারভেছ, চতুর্থ বারের মতন দায়িত্ব পেয়েছিলেন যুবলীগ নেতা খবির হোসেন জনি। প্রথম,২য়,৩য় এই তিন পিএস দায়িতে¦ থাকলে তাদের পরিচালনা করতেন। এমপির ছোট ভাই তৌফিক দেওয়ান ও দুলাল দেওয়ান। কে এই দুলাল দেওয়ান এমপির চাচাতো ভাই মতলব অফিসের ৩য় শ্রেনীর কর্মচারি। কিন্তু এলাকার লোকজন বলেন কয়েক দিনের মধ্যেই দুলাল দেওয়ান আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছেন। পিএস এর খবির হোসেন দায়িত্ব পাওয়ার পর এই দুই নেতা কথা শুতেন না ।খবির হোসেন সরাসরি এমপি ও জনগনের সাথে যোগাযোগ করতেন। এলাকার মানুষ মনে করেন পিএস এর পদটি ছিল মৃত্যুর কারন। পিছনে কারা আছে মতলবে মানুষ সবই জানে ।
উল্লেখ্য খবির হোসেন উপজেলা যুবলীগের সমাজসেবা সম্পাদক এবং গত ইউপি নির্বাচনে উপাদী উত্তর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিলেন। ২১৬ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। খবির হোসেনের পিতার নাম সামছুল হক প্রধান, তার গ্রামের বাড়ী নওগাঁও গ্রামে।