ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ গোবিন্দপুর ইউনয়িনের হাঁসা গ্রামের গৃহবধূ শারমিন বাবার বাড়ি থেকে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক না দেয়ার কারণে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
জানা যায়, হাঁসা পাটওয়ারী বাড়ির আব্দুর রশিদ পাটওয়ারীর ছেলে সিদ্দিকুর রহমান (বাবলু) গত ১১ অক্টোবর বুধবার দিনে কয়েকবার শারমিনকে তার বাবার বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য বলতে থাকে। না দেয়ার কারণে রাতে স্বামী সিদ্দিকুর রহমান বাবুল স্ত্রী শারমিনকে লাথি, থাপ্পর দিয়ে ফেলে দিলে শাশুড়ি হায়াতির নেছা, দেবর ইমান পাটওয়ারী, ননদ হিরা বেগম মিলে তাকে গলা চাপ দিয়ে ধরে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা নেয়া হয়।
জানা যায়, গত কয়েক বছর আগে শারমিন আক্তার ও সিদ্দিকুর রহমান বাবুল পাটওয়ারীর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে শিমুল নামে ৪ বছরের এক ছেলের জন্ম হয়। স্বামী বাবুল শ্বশুর বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে বিদেশ যান। বিদেশ যাওয়ার পর থেকে স্ত্রীর কোনো খোঁজ খবর রাখেন নি। শারমিনকে শ্বশুর বাড়িতে বিভিন্ন অত্যাচার সহ্য করে থাকতে হতো।
সিদ্দিকুর রহমান বাবুল বিদেশ থেকে আসার পর স্ত্রী শারমিন আক্তারকে প্রায় শারীরিক ও মানসিকভাবে আঘাত করতো। গত কয়েক মাস ধরে আবার শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য কয়েকবার মারধর করেন। ঘটনার কয়েক দিন তাকে বিভিন্নভাবে হত্যা করার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে স্বামী সিদ্দিকুর রহমানের সাথে আলাপ করলে তিনি মূল কথা এড়িয়ে যান এবং কিছুই জানেন না বলে চলে যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রোগী চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ৪র্থ তলার ৭নং বেডে ভর্তি আছেন।