প্রতিনিধি
এলার্জি রোগের যন্ত্রণা সইতে না পেরে রঘুনাথপুরে হুমায়ন কবির (৪০) নামে চার সন্তানের জনক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ২ জানুয়ারি শুক্রবার চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর রঘুনাথপুর বেপারী বাজারের দিদার উল্যাহ বেপারী বাড়িতে।
জানা যায়, চাঁদপুর শহরের ঘোড়ামারা আশ্রায়ন প্রকল্পে বসবাসরত আবুল বাশার খন্দকারের পুত্র হুমায়ন কবির দীর্ঘদিন যাবৎ এলার্জি রোগে ভুগছিলেন। তিনি একজন নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন (রাজমিস্ত্রি)। তাদের ঘরে ৩ মেয়ে এবং ১ ছেলে রয়েছে। তার স্ত্রী জানান, শরীরে এলার্জি রোগের কারণে তার স্বামী ঠিকমত কাজ-কর্ম করতে পারতো না। গত কয়েক দিন পূর্বে হুমায়ুন কবির বেপারী বাজারে বিল্ডিংয়ের কাজ থাকার কারণে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করেন এবং সেখানে থেকে কাজ করতেন। তার স্ত্রী শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকুরি করার কারণে শ্বশুরের ঘরে তিনি একাই ঘুমাতেন। ছেলে মেয়েরা ঘোড়ামারা আশ্রায়ন প্রকল্পে থাকতেন।
গত বৃহস্পতিবার তিনি প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে রাতে শ্বশুরের ঘরে ঘুমাতে যান। এর আগে কাজের হিসাব করার কথা বলে পাশের ঘর থেকে একটি সাদা কাগজ চেয়ে নেন। সকালে তার শাশুড়ি রাণী বেগম অন্য ঘর থেকে এসে জামাইকে ঘুম থেকে উঠাতে গিয়ে দেখেন হুমায়ন কবির মাপলার দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তার লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। তিনি হাউমাউ করে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার লাশ ঝুলতে দেখেন। তিনি সাদা কাগজটিতে লিখে গেছেন আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি আমার এই রোগের যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছি। তার বড় মেয়েটিকে তার এক ভাগিনার কাছে বিয়ে দেয়ার কথাও তিনি চিঠিতে লিখে যান। পরে স্থানীয়রা ঘটনাটি চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানার এসআই আবু সাঈদ তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে পাঠায়।