নিজস্ব প্রতিনিধি
চাঁদপুর শহরের সনি্নকটে রঘুনাথপুর বাজারের পার্শ্ববর্তী স্থানে ভণ্ডামি ও প্রতারণার মাধ্যমে মাজার প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ধর্মপ্রাণ মানুষের ফোনে অনুরোধ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এ খবরের সত্যতা পাওয়া যায়। খবর পেয়ে চাঁদপুরের আলেম সমাজ এমন ভণ্ডামি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে তাদের কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে তা প্রতিহতের ঘোষণা দেন।
স্থানীয় বেশ ক’জন এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, চাঁদপুর পৌর এলাকার রঘুনাথপুর বাজারের পশ্চিম পাশে বসবাসরত লোকমান আলী ফকির (৭০) নামে এক ব্যক্তি বিভিন্ন মাজার শরীফ ঘুরে বেড়াতেন এবং এলাকায় এসে এ সংক্রানত্দ তথ্য উপস্থাপন করে বেশ ক’জন ভক্ত অনুরাগী তৈরি করেন। তিনি তার এসব ভক্ত অনুরাগীকে নিয়ে সপ্তাহে একাধিকবার আসরে বসতেন এবং সমাজে তাদের অনুসারী বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন কলা-কৌশল অবলম্বন করতেন। পশ্চাৎপদ এবং ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন না হওয়ায় স্থানীয় বেশ কিছু ব্যক্তি এদের অনুসারী হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলে। বিভিন্ন মাজারে অনুষ্ঠিত উরস কিংবা অন্যান্য অনুষ্ঠানে এরা দল বেঁধে অংশগ্রহণ করে। এ অবস্থায় গত শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর লোকমান আলী ফকির মৃত্যুবরণ করলে তার এসব ভক্ত অনুরাগী তার কবরকে মাজার শরীফে রূপ দেয়ার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লিরা ৰিপ্ত হয়ে উঠলেও সামাজিক বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় তারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর পৌঁছায়। গতকাল সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কবর পাকাকরণের ছবি তুলতে গেলে লোকমান ফকিরের অনুসরাীরা বাধা দেয়। এ সময় শাহাদাত মজুমদার নামে একজন ভক্ত সাংবাদিকদের সাথে অশোভন ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে ছবি তুলে ঘটনাস্থল হতে বের হয়ে এলে স্থানীয় জনতা সাংবাদিকদের দাঁড় করিয়ে এসব ভণ্ড মাজার ভক্তদের বিরুদ্ধে নানা সমাজ বিরোধী অভিযোগ উত্থাপন করে। এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে, উক্ত শাহাদাত এবং তার সাথে থাকা এসব ভক্ত-অনুরাগী মদ খাওয়া, জুয়া খেলা এবং গাঁজা সেবনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। তবে এসব ভক্ত অনুরাগীর অনেকেই ভদ্রতা বজায় রেখে চললেও দু’ একজন ৰমতাসীন দলের দোহাই দিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করে নানা অপকর্ম করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রঘুনাথপুরে মাজার তৈরির খবর শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়লে অনৈসলামিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটিসহ আলেম সমাজ ফুঁসে উঠে। তারা তীব্র ভাষায় এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায় এবং যে কোনো মূল্যে তা প্রতিহতের ঘোষণা দেয়। আজ এ ঘটনার প্রতিবাদে আলেম সমাজ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানা যায়। ফলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।