কবির হোসেন মিজি
চাঁদপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর রঘুনাথপুরে সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৬জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন মোঃ মাসুদ গাজী (৪২), রুহুল আমিন গাজী (৬০), সম্পা (১২), নুরুন্নাহার (১৫), রাজিব (২০) ও হানিফ (২২)। আহতরা বর্তমানে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর রঘুনাথপুর বসরত গাজী বাড়িতে (বর্ষা গাজি বাড়ি)। আহত মোঃ মাসুদ গাজী জানান, বেশ ক’ বছর ধরে আমার বাড়ির মফিজ গাজীর সাথে ৪ শতাংশের একটি সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে প্রায় ৬ মাস যাবৎ কোর্টে একটি মামলাও চলছে এবং এ বিষয় নিয়ে বাড়িতে প্রায় সময়ই তাদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিকভাবে ঝগড়া ঝাটি হতো। আর সেই সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরেই তারা আমাদের উপর হামলা করে। আমি গতকাল সকাল ৯টায় রঘুনাথপুর বাজার থেকে বাড়িতে আসার সময় তারা হঠাৎ করে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে আমার মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হই। আমার চিৎকার শুনে বাড়ির ভেতর থেকে আমার ভাই রুহুল আমিনসহ অন্যারা ছুটে আসলে মৃত মফিজ গাজীর পুত্র লিটন গাজী, ইব্রাহিম গাজীর পুত্র মোসত্দফা গাজী, হাবিব গাজী, মোসত্দফা গাজীর পুত্র রাবি্ব, সাবি্বর এবং বকু গাজীর পুত্র গফুর গাজী ও আঃ আলীসহ ইট, রড, দা, ছেনি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। শুধু তাই নয়, তারা আমার ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল, কম্পিউটার এবং বসতঘরের দরজা জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এতে আমার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে এ ব্যাপারে কথা হয় প্রতিপক্ষের মৃত মফিজ গাজীর পুত্র লিটন গাজীর সাথে। তিনি জানান, আমরা তার মোটর সাইকেল, কম্পিউটার, ঘর বাড়ি এবং কোনো আসবাবপত্র ভাংচুর করিনি। আমাদের সাথে ঝগড়া হওয়ায় আমার পরিবারের ছেলে মেয়েরা মোটর সাইকেলের উপর আংশিক আঘাত করেছে। আর ঘরের আসবাবপত্রগুলো মাসুদ গাজী নিজেই ভেঙ্গে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহত মাসুদ গাজী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।