ঢাকা: এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের ‘ডি’ গ্রুপের বাছাইপর্বের লড়াইয়ে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। ফরোয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন রনির জোড়া গোলের সুবাদে দশজনের দল নিয়েও নেপালকে (২-০) হারিয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনেন ডাচ কোচ ক্রুইফ। প্রাণতোষ কুমার দাস, মিঠুন চৌধুরী ও আলমগীর রানার পরিবর্তে একাদশে ছিলেন আতিকুর রহমান মিশু, আবদুল বাতেন মজুমদার কোমল ও তকলিস আহমেদ।
নিজেদের মাঠে শুরুতেই আঘাত হেনেছিলো নেপাল। প্রতিপক্ষের ওপর চেপে বসে ৬ মিনিটে দুটি কর্নার আদায় করে নেয় তারা। তিনবার গোলের সুযোগও তৈরি করে গোর্খালিরা। তৃতীয়মিনিটে বিপদের সম্ভাবনা থাকলেও গোলরক্ষক সোহেলের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত রক্ষা পায় বাংলাদেশ।
তবে নিজেদের গুছিয়ে প্রতিপক্ষের সীমানায় আক্রমনে যায় লাল-সবুজরাও। দ্রুত সাফল্য তুলে নেয় ক্রুইফ শিষ্যরা। ২৮ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে আশরাফুল আলম লিঙ্কনের গোলমুখী ক্রসের বল নিয়ন্ত্রন নেয়ার আগে স্ট্রাইকার শাখাওয়াত রনিকে বিপজ্জনকভাবে বাধা দেন বিরাজ মহারাজন। কাতারের রেফারি ফাহাদ জাবের পেনাল্টির নির্দেশ দেন। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি প্রিমিয়ার লিগে অসাধারণ খেলা আবাহনীর তরুণ স্ট্রাইকার রনি। স্পট কিক থেকে বল জালে জড়ান (১-০)।
তবে স্বাগতিকরা এ অর্ধেই সমতা আনার সুযোগ পেয়েছিল দুবার। ৩৯ মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ে অধিনায়ক সাগর থাপার দুটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, আর অতিরিক্ত বিপদ সীমানা থেকে জগজিৎকে শট নিতে দেননি ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেপালিরা মুহূর্মুহু আক্রমনে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লেও চাপে ভেঙ্গে পড়েনি ওয়ালী-নাসির-কেস্ট-লিঙ্কনের গড়া রক্ষন দেয়াল। অসাধারণ দৃঢ়তায় রুখে দেন তারা প্রতিটি আক্রমন।
৫২ মিনিটে প্রায় নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা। ভরত খোয়াজের শট সাইডপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৫৭ মিনিটে পাল্টা আক্রমনে দ্বিতীয় গোল তুলে নেয় বাংলাদেশ। নিজেদের সীমানা থেকে লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ে দ্রুত প্রতিপক্ষের সীমানায় ঢুকে আড়াআড়িভাবে বল ঠেলে দেন তকলিস।
আনমার্কড রনি ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান ২-০ করেন। ম্যাচের বাকি সময়ে নেপাল অন্তত পাঁচবার গোল করার মতো সুযোগ পেলেও ব্যর্থ হন ভারত খাওয়াজ, অনিল গুরুং, জগজিৎ শ্রেষ্ঠা, রবিনরা। ৮৬ মিনিটে মিডফিল্ডর
আলমগীর কবির রানা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশজনে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত পক্ষই ব্যবধানে হেরফের ঘটাতে না পারায় ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কোচ লোডউইক ডি ক্রুইফের শিষ্যরা।
গ্রুপের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী ফিলিস্তিনের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ।
বুধবার পরবর্তী ম্যাচে লোডউইক ডি ক্রুইফের শিষ্যরা মুখোমুখি হবে নর্দার্ন ম্যারিয়ানা আইল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।