প্রতিনিধি
কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে উচিতগাবা গ্রামের কাজী জাহাঙ্গীরের পুুত্র তোফায়েল (২০), দেলোয়ারের পুত্র আক্তার হোসেন (২২) ও পাড়াগাঁও গ্রামের আবুল কালামের পুত্র আলাউদ্দিন (২২) গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লার কুচাইতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় রহিমানগর বাজারে কান্দিরপাড় গ্রামের আলী আকবরের পুত্র ছাত্রলীগ নেতা রুবেলের সাথে পাড়াগাঁও গ্রামের শাহ আলমের পুত্র সায়মনের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় রুবেলের পক্ষ হয়ে শাহারপাড় গ্রামের আব্দুল মান্নানের পুত্র সোহাগ সায়মনের শার্টের কলার চেপে ধরে। এরপর সায়মন ও সবুজের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি দল রহিমানগর বাজারে এসে রুবেল ও সোহাগকে খুঁজতে থাকে। এ খবর পেয়ে রুবেল ও সোহাগের নেতৃত্বে শাহারপাড় গ্রাম থেকে ৪০/৫০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে রহিমানগর বাজারে মহড়া দিয়ে সায়মন ও সবুজদের ধাওয়া করে এবং পাড়াগাঁও গ্রামের আলাউদ্দিনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুবেল ও সোহাগের নেতৃত্বে থাকা লোকজনকে বুঝিয়ে শুনিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এদিকে আলাউদ্দিন আহতের খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সায়মন ও সবুজের সমর্থকরা পুনরায় সংঘটিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে রহিমানগর বাজারে এসে রুবেল ও সোহাগদের ধাওয়া করে হামলা চালায়। এতে তোফায়েল ও আক্তার হোসেন গুরুতর আহত হয়। কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন মজুমদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে, রহিমানগর বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পাড়াগাঁও গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা বাবু (২০) কে আটক করেছে ।