দেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশ। আর এই ইলিশ রক্ষার জন্য সরকার নদীতে কোস্টগার্ড মৎস্যকর্মকর্তা নৌ পুলিশদের মোতায়েন করেছে। ৭ ইঞ্চির নিচে ইলিশ মাছকে জাটকা বলা হয়। এই জাটকা ইলিশ কারেন্ট জাল দিয়ে নিধন করছে কিছু অসাধু জেলেরা। প্রতি দিন মেঘনা-পদ্মা নদীতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শত শত জেলেরা ছোট ছোট নৌকা দিয়ে কারেন্ট জালের মাধ্যমে জাটকা ইলিশ নিধন করে চরাঞ্চলের ভাসমান আড়ৎগুলোতে বিক্রি করছে। তেমনি রাজরাজেশ্বরের কয়েকটি চরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নদীর তীরে ভাসমান আড়ৎগুলো দিনে ও রাতে দেদারছে জাটকা ইলিশ জেলেদের কাছ থেকে ক্রয় করছে। আর কিছু পাইকারী মৎস্য ব্যবসায়ীরা ঝুড়িতে ও কর্কসীটে বরফ দিয়ে মাছ মওজুদ করছে। এছাড়া নদীতে যে সকল জেলেরা জাটকা ইলিশ নিধন করছে তাদের কাছ থেকে আড়ৎদার মৎস্য ব্যবসায়ীরা নিজেদের ছোট ছোট ট্রলার দিয়ে নদীর মাঝখান থেকে মাছ ক্রয় করে কিনে নিয়ে তীরে এনে মওজুদ করছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার জাটকা ইলিশ ট্রলার বোঝাই করে নিয়ে, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে। এছাড়া বরিশাল থেকে আসা কিছু যাত্রীবাহি লঞ্চে এ আড়ৎদার ব্যবসায়ীরা নদীর মাঝখানে জাটকা ইলিশ বোঝাই ঝুড়ি নিয়ে লঞ্চ গতিরোধ করে তাতে মাছ উঠিয়ে দিচ্ছে।
এ বছর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মৎস্য কর্মকর্তা, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের কয়েকটি টীম নদীতে টহল দিয়ে ব্যাপক পরিমান কারেন্ট জালসহ জাটকা ইলিশ জব্দ করার কারণে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। তাই পূর্বের তুলনায় এ বছর নদীতে প্রচুর পরিমান ইলিশ দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতিকালে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ চরাঞ্চলের তীরবর্তি এলাকায় অভিযানকালে আড়ৎদারও মৎস্যজীবীরা প্রশাসনকে টার্গেট করে তীর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় প্রশাসনের কিছু লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কোস্টগার্ড চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছ ঘাট ও ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া বাজার থেকে গাড়ি বোঝাই ইলিশ মাছ জব্দ করে নিয়ে আসে। এছাড়া কোস্টগার্ড শপথ চত্বর মোড় থেকে ট্রাক বোঝাই ইলিশ মাছ জব্দ করে হতদরিদ্র এতিমদের মাঝে বিতরণ করে।
চরাঞ্চলের প্রশাসন দিনের বেলায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে আড়ৎগুলো ভেঙ্গে দিলে জাটকা বিক্রি ও নিধন অনেকাংশে কমে যাবে বলে সচেতন মহলের অভিমত।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৫ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।