মিনু রহমান
রামধনুর সেতু বেঁধছো দিগন্তে আসবে বলে
প্রদীপটি আগলে রেখো আঁধার নেমেছে
আগুনের তেজকে তো তুমিই ছাই চাপা দিলে
আজ কেন অতীতকে সামনে আনো
কত কথা- কত বাক্যালাপ নিরন্তর এমনি
তুমি আমায় ছুঁয়ে দিলে ফুঁটে উঠতো যুগল পূর্নিমা,
কি অপার মহিমা ছিল,-সুখের তাপে সংজ্ঞা হারিয়েছি।
কখন যেন জ্যোস্না ভস্ম হয়েছে ধূসর কফিনে
সপ্তর্ষিরা খসে পড়েছে বায়ুমন্ডলে
রাত্রির ভাঙনে -কতবার প্রেম ভিক্ষা করেছি
তোমাকে ভালোবেসে পাথর চেপে ছিল আমার বুকে,
বুঝে ছিলাম-এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছু ণেই
হিম নীলিমায় চলতো অলৌকিক খেলা
যা কিছুই ধরি মনে হতো তোমার হাত–
সব কিছুই আজ অম্লান হয়ে আছে মেঘের পুরীতে।
সকালে বিকেলে মনের মধ্যে ভাঙত পাহাড়
স্বপ্নের পিছনে থাকে চিরধাবমান গোপন শিহরন
নদী নিবিড় হয়ে জানিয়ে যায় সে দিনগুলির কথা।