স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলগী তফাদার বাড়িতে চাষকৃত পুকুরে দুষ্কৃতকারী নেশাখোরদের বিষ প্রয়োগে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার মাছ মারা যায়।
জানা যায়, দক্ষিণ আলগী তফাদার বাড়ির দক্ষিণ পাশে তিন একর জলাশয়ে প্রায় ২ বছর যাবৎ পার্শ্ববর্তী গ্রামের জনৈক মোঃ বেলায়েত হোসেন তফাদার, মোঃ হারুন বেপারী, ফয়সাল তফাদার, সোহেল মিজি বেকারত্ব দূরীকরণে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয় করে মাছ চাষ করেন। তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে এই চাষকৃত পুকুরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে যান। তাদের স্বপ্ন ছিল এই চাষকৃত মাছ বিক্রি করে হয়তো তারা একদিন স্বাবলম্বী হতে পারবেন এবং নিজেদের অভাব ঘুচাতে পারবেন। কিন্তু তাদের সেই বুক ভরা স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পার্শ্ববর্তী নেশাখোর ও দুষ্কৃতকারী মোঃ খায়ের বেপারী, সোবাহান বেপারী, জাকির মিজি, কাদির মিজি, সেলিম মিজিসহ কয়েকজন। তারা বৃহৎ অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন মাছ চাষকারীদের কাছে এবং চাঁদার টাকা না দিলে মাছের ক্ষতিসাধন সহ বিভিন্ন ক্ষতি করারও হুমকি প্রদান করেন। কিন্তু মাছ চাষকারী ব্যক্তিগণ তাদের এই হুমকিকে আমলে নিলেও তাদের দ্বারা যে এতো বড় ক্ষতি হবে তা তারা বুঝতে পারেনি। আর যখন বুঝতে পেরেছে তখন তাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। মরে ভেসে উঠেছে তাদের স্বপ্নের লালিত মাছ। যে দৃশ্য দেখে আশপাশের মানুষের হৃদয়ও ব্যথিত হয়ে উঠেছে। চাঁদা না পাওয়ার কারণে এত বড় অমানুষিক নির্মম নিষ্ঠুর কাজ পার্শ্ববর্তী কোনো মানুষই মেনে নিতে পারেনি। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে এই নিষ্ঠুর কাজের জন্যে ধিক্কার জানায়।
দেখা যায়, গত ২৫ অক্টোবর ভোরে উল্লেখিত চাঁদাবাজ খায়ের বেপারী, সোবাহান বেপারী, জাকির মিজি, কাদের মিজি, সেলিম মিজি চাষকৃত পুকুরের পাশ দিয়ে দৌড়ে যাওয়ার প্রাক্কালে মাছ চাষী হারুন তাদেরকে দেখে ফেলেন এবং তার মনে সন্দেহ জাগায় তিনি তাদের পেছনে দৌড়াতে থাকেন। কিন্তু তাদেরকে ধরতে না পেরে তিনি চাষকৃত মাছের প্রজেক্টে ফিরে আসেন এবং দেখতে পান কিছু মাছ মরে ভেসে উঠছে। ধীরে ধীরে সময়ের ব্যবধানে পুকুরের সব মাছই এক সময় মরে ভেসে উঠে। দুষ্কৃতকারীদের দেয়া বিষে মরে ভেসে উঠা রুই, কাতল, মৃগেল, তেলপিয়া, চিংড়ি, সরপুঁটি সহ প্রভৃতি মাছ দেখে অনেকেই চোখের জল সংবরণ করতে পারেনি। দৃষ্কৃতকারীদের দেয়া বিষে নিঃশেষ হয়ে গেলো কয়েকজন যুবকের স্বপ্ন।