রাশিয়ার আয়োজনে ‘ভোস্তক ২০২২’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী সামরিক মহড়া গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। এই সামরিক মহড়ায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ ছাড়াও ভারত, চীন, মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান, সিরিয়া, লাওস ও নিকারাগুয়ার সেনারা অংশ নিচ্ছেন। যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় ভারতের অংশগ্রহণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই মহড়ায় অর্ধলক্ষাধিক সেনাসদস্য অংশ নিচ্ছে। এছাড়া মহড়ায় ১৪০টি বিমান, ৬০টি যুদ্ধজাহাজ এবং ৫ হাজার অস্ত্র ইউনিট থাকবে। এই মহড়ায় ফায়ারপাওয়ার অনুশীলন, যৌথ ক্ষেত্র প্রশিক্ষণ অনুশীলন এবং যুদ্ধ আলোচনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পূর্ব সাইবেরিয়া, রাশিয়ার সুদূর পূর্ব এবং জাপান সাগরের সাতটি ফায়ারিং রেঞ্জে এই মহড়া চলবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই মহড়ায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে রাশিয়ায় পৌঁছেছে চীনা সেনারা। ৭/৮ গোর্খা রাইফেলস একটি সেনা কন্টিনজেন্ট রাশিয়ায় মহড়ার জন্য প্রেরণ করেছে ভারত।
আলজাজিরার এক খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার জেনারেল স্টাফ প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ, ব্যক্তিগতভাবে মহড়ার তত্ত্বাবধান করছেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাপান সাগরে রাশিয়ান এবং চীনা নৌবাহিনী সমুদ্র যোগাযোগ রক্ষার জন্য যৌথ পদক্ষেপ, সামুদ্রিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপের ক্ষেত্র এবং উপকূলীয় অঞ্চলে স্থল সেনাদের সমর্থনের কৌশলের ওপর অনুশীলন করবে। এছাড়া এই মহড়া মস্কো এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সম্পর্কের প্রদর্শন করবে। গত সপ্তাহে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল তান কেফেই বলেন, এই মহড়ায় চীনের অংশগ্রহণের লক্ষ্য হলো, অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সামরিক বাহিনীর মধ্যে বাস্তবসম্মত ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতাকে গভীর করা। গত বছর উত্তর-মধ্য চীনে রাশিয়া ও চীনের ১০ হাজারের বেশি সেনা যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়।