স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন রেলওয়ে থানার উন্নয়ন কাজ করতে সীমানা নির্ধারন এর সময় রেলওয়ে থানা কর্তৃপক্ষের সাথে থানার পাশে বসতি স্থাপন করে থাকা রুবী বেগম ও রিয়াদ গংদের সাথে বাগবিতন্ডার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে বিষয়টি অন্য দিকে ধাবিত হচ্ছে। বর্তমানে এ ঘটনায় থানা কর্তৃপক্ষ ও বসতি স্থাপন কারিদের মধ্যে ব্যাপক চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়, বাংলাদেশ পুলিশের সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর রেলওয়ে থানার উন্নয়ন কাজের লক্ষ্যে সীমানা নির্ধারনের জন্য রেলওয়ের ভূমি কর্তৃপক্ষ চাঁদপুরেস আসেন। সে মতে লাকসাম কাচারীর দায়িত্বরত কর্মকর্তা রেলওয়ে থানার সীমানা নির্ধারন নিয়ে সীমানা মাপ দেওয়ার জন্য থানা এলাকায় আসেন। এ সময় রেলওয়ে থানা পাশে রেলওয়ের জায়গায় বসতি স্থাপনকারীদের সাথে বাগবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। সকল বাগবিতন্ডা উপেক্ষা করে লাকসাম কাচারীর দায়িত্বরত কাননগো রেলওয়ে থানার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় টিনের বেড়া খুলে পেলে দিয়ে মাপ সম্পূর্ণ করে। থানার পাশে বসতি স্থাপনকারী জনৈক কাজী শাহবুদ্দিনের স্ত্রী ও রুবী বেগম ও তার ছেলে রিয়াদ আহমেদের সাথে ব্যাপক বাগবিতন্ডা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় বসতি স্থাপনকারীদের ৩টি বসত ঘরের মধ্যে একটি ঘরের বাউন্ডারী বেড়া ক্ষতি হয়েছে বলে রুবী বেগম জানান (৪০) জানায়। রুবী বেগম আরও জানান, তার স্বামীর নামে ৮শ বর্গফুট জায়গা লীজ রয়েছে। তার পিতা-মৃত চুন্নু মিয়া জীবিত অবস্থায় তারা বর্তমান বসতি স্থাপনের স্থানে ডোবা ভরাট করে ঘর নির্মান বসবাস করে আসছে বিগত ২৫ বছর যাবত। এ ব্যাপারে রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক দেশের বিভিন্ন স্থানে থানার উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। সে লক্ষে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার কাজ হবে। সরকারি রেলওয়ে জায়গা সরকারি লাকসাম কাচারীর কাননগো ও তার লোকেরা মেপে নির্ধারন করেছে। আমি এখানকার দায়িত্বে আছি বিধায় মাপের সাথে ছিলাম। অবৈধ দখলদার এরা থানার জায়গার ভিতরে তাদের বেড়া নিয়ে এসেছে। সেইগুলো রেলওয়ের লোকেরা সরিয়ে দিয়েছে।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে বড়ধরনের অপ্রীতিকর ঘটার আসংকা রয়েছে।