এম. সাখাওয়াত হোসেন মিথুন
হাজীগঞ্জে ডাক্তার শূন্যতাসহ নানা সমস্যা সংকটে চিকিৎসা সেবায় নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন হয়নি। ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েরোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। উপজেলার ৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্। স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ ে২১জন ডাক্তারের পদ থাকলেও বর্তমানে নাম মাত্র ৪ জন ডাক্তার
নিয়োজিত রয়েছেন। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। শিশুদের জন্য একজন অনিয়মিত চিকিৎসক রয়েছেন। একজন মেডিকেল অফিসার উপজেলা শহর থেকে এসে দৈনিক কয়েক ঘন্টা চিকিৎসা সেবা দিয়ে চলে যান। এছাড়া আবাসিক মেডিকেল অফিসার, দন্ত চিকিৎসক, গাইনি চিকিৎসক, মেডিকেল অফিসার (সার্জারি), চক্ষু, হৃদরোগ, নাক-কান- গলা ও চর্ম রোগের চিকিৎসক শুরু থেকেই নেই। এমনিতেই স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েচিকিৎসক সংকট রয়েছে। তারপরও অর্থোপেডিকস (হাড় বিশেষজ্ঞ) ও অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক সংকট। আবাসিক মেডিকেল অফিসার পদ শূন্য থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েভর্তি রোগীদের চিকিৎসার অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গাইনি চিকিৎসক না থাকায় প্রসূতি নারীদের ভোগান্তির শেষ নেই। জরুরি বিভাগে রোগী আসলেও ডাক্তার সংকটের কারণে চিকিৎসা পাচ্ছে না। জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক সহকারীরা রোগীকে চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় রেফার্ড (স্থানান্তর) করেন। এছাড়া বহির্বিভাগে দৈনিক শত শত রোগী সস্নিপ নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে ওষুধের নাম লিখে নিতে পারছে না। তাদের চিকিৎসা স্লিপেই সীমাবদ্ধ থাকছে। চিকিৎসা সেবা না পেয়ে রোগীরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েনার্সের পদ রয়েছে ১৫ জন। সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র ৮জন। এ জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েভর্তি রোগীদের সেবার মান কমে গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে জেনারেটর প্রায় ৫ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। মেরামতের জন্য কোন প্রকার অর্থ বরাদ্দ না থাকায় চালু করা যাচ্ছে না জেনারেটরটি। মেরামত অভাবে দীর্ঘদিন বিকল হয়ে পড়ে থাকায় যন্ত্রাংশগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জেনারেটর বিকল, বিদ্যুৎ চলে গেলে চিকিৎসাধীন রোগীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একটি এম্বুলেন্স বিকল হয়ে পড়ে আছে। এছাড়া ১০টি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন করে চিকিৎসক পদ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে শূন্যতা বিরাজ করছে। এ কারণে গ্রামের লোকজন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হোসনে ফিরোজা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে সমস্যা ও সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেও কাজ হচ্ছে না।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।