ফাহিম শাহরিন কৌশিক
চাঁদপুর শহরের পোষ্ট অফিস সংলগ্ন লেডী প্রতিমা মিত্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসলিমা খাতুনকে জোর করে সি.এন.জি যোগে অপহরন করে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন শেষে মুক্তি দেয়া হয়েছে। অপহরণকারী আসমা বেগমকে কৌশলে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মোর্শেদা ইয়াছমিন স্কুলে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর থলের বিড়ালের মত মূল ঘটনা উন্মোচিত হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে স্কুলের সামনে থেকে ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে বড়ষ্টেশন মোল হেডে রক্তধারার সামনে নিয়ে শারিরীক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, পুরানবাজার নিতাইগঞ্জ হাওয়া বিড়ির ফ্যাক্টরীর মালিক মোস্তফা শেখের মেয়ে আসমা বেগমের সাথে ফরিদগঞ্জ দক্ষিন বালিথুবা সৌদি প্রবাসী লোকমানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আসমা শহরে বিভিন্ন বাসা ভাড়া নিয়ে স্কুল কলেজ পড়–য়া মেয়েদেরকে তার বাসায় রাখতেন। সর্বশেষ তিনি ছায়াবানীর মোড় গাজী ফার্মেসির পিছনে একটি বাসা ভাড়া নেয়। আসমা তার বাসায় তার স্বামীর ভাগ্নি আমেনাকে রেখে পড়াশুনা করান। আমেনার সাথে একটি ছেলের সম্পর্ক রয়েছে ও তার সহপাঠী তাসলিমা সুলতানা এ ঘটনায় জড়িত রয়েছে সন্দেহে আসমা বেগম ঘটনার দিন দুপুরে স্কুলের সামনে এসে পাহাড়া দেন। দুপুরে স্কুল ছাত্রীর তাসলিমা খাতুন স্কুল গেইট বের হওয়ার পর পরেই আসমা বেগম ও তার বোনের মেয়ে পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মাসপিয়া আক্তার রিদ সহ স্কুল ছাত্রীকে টেনে সিএনজিতে ফিল্মী ইষ্টালে উঠিয়ে বড় ষ্টেশন নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার দুজন স্কুল ছাত্রীকে পিঠিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন এবং তার ছবি মোবাইলে ধারণ করে রেখে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এসময় বড় ষ্টেশনে আসা কয়েকজন যুবক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আসমা বেগম তাদেরকে বুঝতে না দিয়ে স্কুল ছাত্রী তাছলিমা খাতুনকে ছেড়ে দেয়। তাসলিমা সাথে সাথে স্কুলে প্রধান শিক্ষককে ঘটনাটির বিবরণ দেয়। এসময় প্রধান শিক্ষিকা মোর্শেদা ইয়াছমিন কৌশল খাটিয়ে আসমা বেগমের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে তাকে স্কুলে আসতে বলেন। আসমা বেগম তার ভাই আলমগীর শেখকে নিয়ে স্কুলে এসে অপহরন ও শারিরীক নির্যাতনের ঘটনাটি অস্বীকার করেন। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তার মোবাইল থেকে স্কুল ছাত্রীর ছবিটি রক্ষিত দেখতে পেয়ে পরে তা কেটে দেয়া হয়। উভয়পক্ষের সমঝোতা শেষে অপহরণকারী আসমা বেগম ও তার বোনের মেয়ে মাসপিয়া আক্তার রিদ মুচলিকা দিয়ে ছাড়া পায়। পরবর্তীতে কোন ধরনের সমস্যা হলে তারা দায়ভার বহন করবে বলে জানায়। এব্যাপারে স্কুলেল প্রধান শিক্ষিকা মোর্শেদা ইয়াছমিন জানায় বিষয়টি সম্পূর্ণ অন্যায় ও জগন্য অপরাধ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। উভয়পক্ষ সমঝোতা হওয়ায় মুচলেকা রেখে এবারের জন্য তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।