ফাহিম শাহরিয়ার কৌশিক ॥
চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলার ব্যাবসায়ী জামাল গাজীর ৬ তালা ভবনের ৩য় তলা থেকে গৃহকর্মর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পরেছে। গতকাল সোমবার নিহত গৃহকর্মী মরিয়ম (১৪) এর লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।
জানাযায়,চাঁদপুরের পদ্মা অয়েল কোম্পানির চেকার চট্রগ্রামের আজগর হোসেন দীর্ঘ কয়েকবছর যাবৎ জামাল গাজীর বাসার ৩য় তলার দক্ষিন পাশের ফাটে ভাড়া থাকেন। চাঁদপুর থেকে শ্রীমঙ্গলে বদলী হওয়ার কারনে গত রোববার সন্ধ্যা ৭ টায় তার পরিচিত মালঞ্চ মালিকের বাসায় বিদায় নিয়ে আসতে যান। যাওয়ার সময় তার বাসার গৃহকর্মী মরিয়মকে রেখে যান। রাত ১০ টায় আজগর হোসেন ও তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাসায় এসে দরজা না খোলায় এবং কোন সাড়া শব্দ না থাকায় পৌর কমিশনার ফরিদা ইলিয়াসকে অবহিত করেন। মডেল থানা পুলিশ কে বিষয়টি জানানোর পর এসআই আনায়ার হোসেন সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরিয়মের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মরিয়মের এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পরেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে মন্তব্য করেন, হয়তো মরিয়মের উপর অমানসিক নির্যাতন চালানোর কারনে সে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পুলিশ ময়না তদন্ত করে লাশটি বাড়ীর ভাড়াটিয়া আজগর হোসেনের কাছে হস্তান্তর করে। নিহত গৃহকর্মী মরিয়ম কুড়িগ্রাম জেলার নীলের কুটি রাজার হাটের গোলজার হোসেনের মেয়ে। সংসারের অভাব অনটনের কারনে পদ্মা অযেল কোম্পানির দারোয়ান কুড়িগ্রামের ্আব্দুল খালেক ৬ -৭ মাস পুর্বে মরিয়মকে আজগর হোসেনের বাসায় কাজের জন্য নিয়ে আসে। মৃত্যুর ঘটনায় মরিয়মের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে রফাদফা করে। গতকাল ময়না তদন্ত শেষে চাঁদপুর থেকে ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে এম্বুল্যান্স ভাড়া নিয়ে বিকাল ৫ টায় মরিয়মের লাশ তার বাড়ীর উদ্দেশে নেওয়া নেওয়া হয়। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানাযায়।