স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুর শহরের রেলওয়ের বকুলতলা এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে পড়ে গেছে। যার ফলে ওই এলাকার শত শত বাসীন্দা ও স্কুল- কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় শিশুদের জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে অভিভাবকরা। বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কাও বিরাজমান। এ ব্যাপারে পৌর ৩টি ওয়ার্ডে বাসিন্দা, বকুলতলা এলকাবাসী ও শত শত শিক্ষার্থীরা এ রাস্তাটি পূর্ণ সংস্কারের জন্য চাঁদপুর পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো: নাছির উদ্দিন আহমেদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সরজমিনে চাঁদপুর শহরের বকুলতলা রেলওয়ে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, বিগত ১৪ বছর পূর্বে রেলওয়ে এলাকার এ রাস্তাটি পৌরসভার অর্থায়নে পাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন সাবেক পৌর কমিশনার মরহুম তাজুল ইসলাম ভূইয়া। এ রাস্তাটি বকুলতলা ইঞ্জিনিয়ারিং কলোনির ভিতর দিয়ে হওয়ায় বকুলতলা মার্কেটে বসে থাকা বখাটে ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাঁদপুর পৌরসভার ৬,৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এলকাবাসী ও স্কুল- কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপদে এ রাস্তাটি ব্যবহার করতো। এ রাস্তার পাশে একটি পুকুরে বিগত কয়েক বছর যাবত অস্ট্রেলিয়ান মাগুরের চাষ করা হচ্ছে। মাগুর চাষ করায় মাগুর মাছ পুকুর পাড়ের তলদেশের মাটি খুড়ে খুড়ে খাওয়ায় রাস্তাটি বিগত কয়েক বছর যাবত ভাঙ্গতে থাকে। হঠাৎ প্রচন্ড বৃষ্টিপাত, ঝড়ো হাওয়া, প্রবল বর্ষণ ও শত শত মানুষের চলাচলের ফলে রাস্তাটি ভেঙ্গে পুকুরে পড়ে যায়। যার ফলে এ সরু রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত এলাকাবাসী, কলোনিতে বসবাসরত বাসিন্দারা ও স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা মারাত্বক দূর্ভোগের মধ্যে এখান দিয়ে ঝুকির মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেকে এ সরু রাস্তা ব্যবহারের ভয়ে বকুলতলা মার্কেট দিয়ে যাওয়ার সময় বখাটে ও সন্ত্রাসীদের আক্রমনের শিকার হতে হয়। পৌর ৩টি ওয়ার্ডের শত শত জনগণ, স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী ও বকুলতলা বাসীর স্বার্থে পৌর কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি পূর্ণনির্মান করে দিলে এলাকাবাসীর চরম দূর্ভোগ লাগব হবে। এ জন্য শত শত এলাকাবাসী পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অপরদিকে পুকুরটিতে মাগুর মাছের চাষ করায় প্রতিদিন পাল বাজার ও বিভিন্ন স্থান থেকে মুরগী ও গরু-ছাগলের নাড়ি ভুড়ি এনে এ পুকুরে মাছের খাদ্য হিসেবে দিয়ে থাকে। মাগুর মাছ যে পরিমান নাড়ি ভুড়ি বক্ষন করে, তারপর অতিরিক্ত পরে থাকা অংশ পঁচে পানি নষ্ট হয়ে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বাতাসে পুকুরের পঁচা নাড়ি ভুড়ির গন্ধে এলাকাবাসী বসবাস করা মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এভাবে মাগুরের চাষ করে শহরবাসীকে যেমন রোগব্যাধির কবলে ফেলছে তেমনি পরিবেশ খারাপ হওয়ায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে ছোট ছোট শিশুরা। শিশুরা দূষিত আবহাওয়ায় পেটের পিড়া সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোগছে দীর্ঘদিন যাবত। অপরদিকে সরু রাস্তা পাড়াপাড় হতে গিয়ে শিশুরা কখন যে এই ময়লা পানিতে পড়ে ডুবে গিয়ে প্রান হারাবে এ আশঙ্খার মধ্যে অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। তাই পরিবেশের স্বার্থে পুকুরটিতে মাগুরের চাষ বন্ধ ও রাস্তাটি নির্মান করে এলকাবাসীকে স্বস্তিতে জীবন যাপন করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
এ ব্যপারে রেলওয়ের স্থানীয় উর্দ্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাম নারায়ন ধরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। যেহেতু পৌর এলাকায় রাস্তাটি বিরাজমান সেহেতু পৌরকর্তৃপক্ষ রাস্তাটি নির্মান করে দেওয়া প্রয়োজন মনে করছি।
শিরোনাম:
বুধবার , ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১০ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।