স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুর মাতৃপিঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী বিষ্ণুদী রোডের আলী গাজী মাষ্টার বাড়ির করীম গাজীর মেয়ে তানজিনাকে তার চাচাতো ভাই রফিক গাজীর পুত্র সুরুজ গাজী উত্যক্ত করে। এ ঘটনা জানতে পেরে তানজিনার মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে সুরুজ গাজী ক্ষিপ্ত হয়ে তানজিনার বাবা মা কে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তানজিনার বাবা করীম ও মা নাছিমা বেগম চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
আহত করীম গাজী জানায়, আমার বড় ভাই রফিক গাজীর সাথে দির্ঘদিন ধরে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে প্রায় সময় রফিক গাজী তার ছেলে সুরুজ গাজী, রায়হান গাজী, স্ত্রী জোছনা ও মিনু এবং মেয়ে আখি, ফেরদৌসী সহ তাদের দলবল নিয়ে আমাকে ও আমার স্ত্রী সন্তানদের উপর হামলা চালায়। বিষয়টি কয়েকবার প্রতিবাদ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। কারণ তারা খুব শক্তিশালী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির। তাদের ভয়ে এলাকার মানুষ সব সময় আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে থাকে। রফিক গাজীর পুত্র সুরুজ গাজী গত ২৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার অসৎ উদ্দেশ্যের জন্য আমার মেয়ে সকালে স্কুল যাওয়ার পথে তাকে উত্যক্ত ও নির্যাতন করে। বিষয়টি আমার মেয়ে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি আমাদেরকে বিষয়টি জানাতে বলেন। পরে এ ব্যাপারে আমার স্ত্রী বাদী হয়ে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করে। যার নম্বর- ৫৮/১৮। মামলার প্রেক্ষিতে ঘটনাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদীদের খোজ খবর নেয়। এতে রফিক গাজী ক্ষিপ্ত হয়ে ১২ মার্চ সোমবার সকালে তার পুত্র সরুজ গাজী ও রায়হান গাজী সহ তার স্ত্রী ও মেয়েরা মিলে আমার ঘরে এসে আমাকে মারধর করতে শুরু করে। এ সময় আমার ডাক চিৎকারে আমার স্ত্রী নাছিমা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও তারা মরধর করে গুরুতর আহত করে। পরে আমাদের ডাকচিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তারা চলে যায় এবং যাওয়ার সময় ঘরের আসবাপত্র সব ভাংচুর করে মূল্যবান জিনিস পত্র সহ নগদ টাকা নিয়ে যায়। তারা চলে গেলে বাড়ির লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়।
এলাকাবাসীর মাধ্যমে আরো জানা যায়, রফিক গাজী ও তার পুত্ররা এর পূর্বেও বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বৃদ্ধা শাশুড়ী সহ পুত্র বউকে ঘর থেকে বিভিন্ন মালামাল সহ বের করে দিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায়ও সে সময় সংবাদ প্রকাশ হয়। তাদের নামে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে চিকিৎসারত করীম গাজী ও নাছিমা বেগম রফিক গাজী গংদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।