শহর প্রতিনিধি-
বিএনপি নেতৃত্বদানকারী ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘন্টা হরতালের শেষের দিনে শুরু হয়েছে চোরা গোপ্তা হামলায় বাসা, বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট।
গতকাল ২৯ অক্টোবর ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টা হরতালের শেষ দিনে চাঁদপুর পুরাণবাজার রঘুনাথপুরের বাড়িতে বাড়ি-ঘরে ১৮ দলীয় জোটের ও শিবিরের সন্ত্রাসীরা একজোটে হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাংচুর, অন্যদিকে দামী দামী মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর পুরাণবাজারে বিএনপি আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের এক কিশোর মারা যাওয়ার কারণে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে চাঁদপুর পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ১৪৪ ধারা জারি অবস্থায় ১৮ দলীয় জোটের ঐ সকল সন্ত্রাসীকর্মীরা চাঁদপুর শহরতলীতে একত্রিত হয়ে রঘুনাথপুর গাজী বাড়ীতে হামলা চালায়। হামলার সময় ঐ সন্ত্রাসীরা বাড়ির লোকজনকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে এবং তাদের হাত থেকে বাড়িতে থাকা মহিলারা রেহাই পায়নি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকার কথা ছিলো মাঠে ময়দানে এবং রাস্তায় তা এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বাসা বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
গতকালের রঘুনাথপুরের গাজী বাড়িতে হামলায় সে ভয়াবহ রূপটি ধারণ করছে, তা হলে সে একজন সরকারি দল করার কারণে তাকে বাড়িতে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তার সন্তানের গোপন অঙ্গ কেটে দেয়। কি ভয়াবহ এই রাজনীতি! গতকালের এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ মনে করে, এ যদি হয় রাজনীতির কর্মকাণ্ড তবে আগামীতে চাঁদপুরে আর কোন দলের নেতার বাসা বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই অক্ষত থাকবে না। শেষ হয়ে যাবে চাঁদপুরের দীর্ঘ দিনের সুনাম শান্তি ও সম্প্রীতির শহর বলে খ্যাত পরিচিতি।
এখনই এই ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য সকল দলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার বলে সচেতন মহল মনে করে।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।