শাহরিয়ার খান কৌশিক ঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে সম্পতিগত বিরোধের জেরধরে মিথ্যে মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা দিয়ে ক্ষান্ত না হয়ে বিবাদীদের টয়লেট ভাংচুর কারে নানাহ ভাবে হুমকী দমকি দিয়ে আসছে। মামলা করার সাথে সাথে বাড়ির দীর্ঘ দিনের পথ অবরুদ্ধ করেছে অভিযোক্তরা। এর ফলে বাড়ির অধিকাংশ লোকের আসা যাওয়া করতে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। মিথ্যে মামলার শিকারের কারনে ক্ষতিগ্রস্থরা দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনার বিবরনে জানাযায় কৃষ্ণপুর গ্রামের মনির গাজী (৪২), লতিফ গাজী (৫৫), এমরান গাজী (৩৮) সর্ব পিতা মৃত সামছুল হক গাজী, বারেক গাজী (৫৮) পিতা মৃত সামছুল হক গাজী, কোহিনুর বেগম (৩০), স্বামী মনির গাজী, হাছিনা বেগম (৩৫) স্বামী এমরান গাজী, শেফালি বেগম (৩৫), স্বামী বিল্লাল গাজীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যে মূলক মামলা করেন একই বাড়ির মৃত ওসমান গনি রাজের ছেলে মোঃ হোসেন গাজী (৫৮) গত ১২ ফেব্র“য়ারি তারিখে মারামারি, শ্লালিতাহানী, হত্যার উদ্দেশ্যেসহ বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং (২০), মামলার ধারা ১৪৩/ ৪৪৭/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩০৭/ ৩৫৪/ ৩৭৯/ ৫০৬ (২)। মামলার বিবাদীরা জানান যে মামলায় তাদেরকে পাশানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তা সর্ম্পন্ন উদ্দেশ্যে মূলক ভিত্তিহীন, তাদের সাথে মামলার আগ পর্যন্ত কোন বিরোধ ছিলনা, তারাই ইচ্ছে করে, পরপরছনায় মিথ্যে মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। মামলার পর চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসলে মামলার বাদীরা এদিন ওদিক ছুটা ছুটি করে পালিয়ে থাকে বলে বিবাদীসহ বাড়ির লোকজন জানান। এ বিষয়ে সরজমিনে গতকাল প্রতিবেদন আনতে গেলে প্রতক্ষদর্শীরা জানান, যে মামলা আসামীদের এজহার দেখানো হয়েছে, এমন কোন ঘটনা উল্লেখিত দিনে হয়নি, এমনকি শুনিনিও, আবার কেউ কেউ অবাক হয়ে হেসে দিয়ে বলেন, এই মাত্র আপনার কাছে ঘটনাটি শুনলাম, এমন কোন ঘটনা এ এলাকায় ঘটেনি। নামপ্রকাশে অনুচ্ছিক বাদীর বাড়ি এক গৃহিনী বলেন মামলাটি সম্পন্ন মিথ্যে, মামলায় যে দিন ঘটনার তারিখ দেখানো হয়েছে, সেদিন আমাদের বাড়িকে কোন ঝগড়া, কিংবা মারামারির ঘটনা ঘটেনি। এ মামলার কথা শুনে আমরা বাড়ির সবাই অবাক হয়েছি। তাদের ব্যাক্তিস্বার্থর উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মিথ্যে মামলা সাজিঁয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন, এ ছাড়া আর কিছু নয়। এ বিষয়ে মামলার ৪নং স্বাক্ষী হারুন গাজীর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন তাদের সাথে সম্পতিগত বিরোধ আছে, কিন্তু মামলায় দেখানো ঘটনার দিন কোন রকমের মারামারি হয়নি সত্য।