শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কেতুয়া গ্রামে বিধবা ফিরোজা বেগমের সরকার দলিলকৃত নামজারি করা সম্পত্তি দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। কেতুয়া গ্রামের ভূমিদস্যু কয়েকজন দালাল চক্র ভূয়া দলিল দেখিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে সম্প্রত্তি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় বিধবা ফিরোজা বেগম ছেলে সুরুজ খান বাদী হয়ে নুরুল ইসলাম ঢালীর ছেলে মজিবুর রহমান ঢালীকে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। চাঁদপুর মডেল থানার এসআই অনুপ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় কেতুয়া মৌজার সিএস ১৪০নং খতিয়ানভুক্ত ২৫.৯১ একর সম্পত্তি চন্দ্র কুমার দত্ত ও হর কুমার দত্ত মালিক হয়ে ভোগ দখল করে। চন্দ্র কুমার দত্ত মৃতু বরন করলে তার ছেলে ¯েœহময় দত্ত মালিক হয় ভোগ দখল করে। ভারতে জুম্মন ঢালীর সম্পত্তি থাকায় ২য় পক্ষ হিন্দু সম্প্রদায় হর কুমার দত্ত ও স্নেহময় দত্তের বাংলাদেশের কেতুয়া গ্রামের সম্পত্তির বিনিময় করেন। সেই সম্পত্তি বিধবা ফিরোজা বেগমের বাবা জুম্মন ঢালীর কাছে বিনিময় দলিল করার জন্য ১৯৬৪ সালে কুমিল্লা ম্যাজেষ্টেট আদালকে পাওয়ার অপ অ্যাটর্নি নিযুক্ত করে। স্মারক নং ১১৯৯ তারীখ ৩/১২/১৯৬৫ইং বিজ্ঞপ্তিতে অর্পিত সম্পত্তি ঘোষনা হয়। অর্পিত সম্পত্তি চাঁদপুর ডিপুটি কাষ্টুডিয়ান প্রয়োজনীয় দলিল সম্প্রাদনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। জুম্মস ঢালী বিনিময় দলির করা জন্য আদালতে মামলা করেন। মামলা নং ২/৮৪-৮৫/২২২২/৬৮-৬৯। এর আলোকে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষে সহকারী তত্বাবধায়ক চাঁদপুর হইতে ২৪/১০/১৯৯৪ সালে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রিকৃত ৫০০৬নং হস্তান্তর দলীলমূলে জুম্মান ঢালী মারা যাওয়ায় তার মেয়ে ফিরোজা বেগম সহ তার ছেলেদের নামে সমানভাগে বন্টন করে দলিল করে দেয়। ফিরোজা বেগম ২০১৩-২০১৪ইং সনের ১৮৭১নং নামজারি ও জমা খারিজ মোকাদ্দমায় বিভিন্ন দাগে ৯৯ শতাংশ সম্পত্তি ভোগ দখল করে। সে সম্পত্তি দখল করার জন্য এলাকার ভূমিদস্যুরা ভূয়া দলিল বানিয়ে ফিরোজা বেগমের ভাই নুরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালায়। ফিরোজা বেগমের সে সম্পত্তিতে বরগাকৃত চাষ করা আলু উত্তোলনের সময় প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে এসে গত কয়েকদিন পূর্বে হামলা চালায়। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ফিরোজা বেগমের স্বামী আলম খান মারা যাওয়ার পর থেকে তার সম্পত্তি দখল করে তাকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পায়তার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ফিরোজা বেগম তার ছেলে সুরুজ খান। এদিকে বিধবা ফিরোজা বেগমের বৈধ সম্পত্তি দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।